আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর মধ্য দিয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়কটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম অংশ ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার, আর পদ্মা সেতুর ওই পার থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর ফলে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা, খুলনা বিভাগের ১০ জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ছয় জেলা মিলিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২ জেলার মানুষ সরাসরি এই এক্সপ্রেসওয়েতে উপকৃত হবেন।
পদ্মা সেতুতে ইতোমধ্যে বসেছে ২৬তম স্প্যান। আগামী বছরই চালু হবে স্বপ্নের এ সেতু। তার আগে আজ চালু হলো এ সেতুকে সংযোগকারী ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে।
আরো পড়ুন: স্বামীসহ ফের ১৫ দিনের রিমান্ডে পাপিয়া
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনীর ২৪ কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে। পদ্মা সেতু হয়ে গেলে ভাঙ্গা থেকে ঢাকা আসা-যাওয়ায় এক ঘণ্টাও লাগবে না বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এই মহাসড়কে ৪৪টি কালভার্ট, ১৯টি আন্ডারপাস, চারটি বড় সেতু, ২৫টি ছোট সেতু, পাঁচটি ফ্লাইওভার ও চারটি রেলওয়ে ওভারপাস রয়েছে। পাঁচটি ফ্লাইওভারের একটি হচ্ছে দুই দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ কদমতলী-বাবুবাজার লিংক রোড ফ্লাইওভার। অন্য চারটি করা হয়েছে- আবদুল্লাহপুর, শ্রীনগর, পুলিয়াবাজার ও মালিগ্রামে। জুরাইন, কুচিয়ামোড়া, শ্রীনগর ও আতাদিতে চারটি রেলওয়ে ওভারব্রিজ এবং চারটি বড় সেতু রয়েছে।
২০১৬ সালের মে মাসে প্রকল্পটি নেওয়া হয়। তবে নির্ধারিত ব্যয়ে প্রকল্পটির কাজের বড় অংশই অসমাপ্ত থেকে যায়। পরে বাকি কাজ শেষ করতে আরেকটি প্রকল্প নেওয়া হয়। যদিও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতু (পোস্তগোলা সেতু) সম্প্রসারণ। সেতুটি অপ্রশস্ত হওয়ায় তা মহাসড়কের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
ফলে মহাসড়কটিতে যান চলাচল বাড়লে রাজধানীর প্রবেশমুখে জটিলতা তৈরি হবে। প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ছয় হাজার ২৫২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। পরে তা দুই দফা বেড়ে হয় ছয় হাজার ৮৯২ কোটি পাঁচ লাখ টাকা। এরপরও প্রকল্পের অনেক কাজ বাকি থেকে যায়। এতে ২০১৮ সালে নেওয়া হয় ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরণ প্রকল্প। সেটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে চার হাজার ১১১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। ফলে দুই প্রকল্প মিলিয়ে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার তিন কোটি ৯১ লাখ টাকা।
চস/সোহাগ