এগিয়ে যাওয়ার অপর নাম উৎসাহ। কিন্তু বর্তমান মানুষের মধ্যে যে বিষয়টির অভাব সবচেয়ে বেশী সেটা হলো উৎসাহ দেওয়া। দেশ এবং সমাজের মানুষ এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ এবং প্রেরণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অতীব জরুরি। আমাদের বর্তমান সমাজে এমনও কিছু ব্যক্তি রয়েছে, যাদের ভেতর উৎসাহ দেওয়ার প্রবণতা না থাকলেও এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা দেওয়ার প্রবণতা আছে। উৎসাহটা সবসময় বড়দের দিতে হয়। আজকের প্রজন্ম উৎসাহ পাবে বিগত প্রজন্ম থেকে। আজকের প্রজন্ম থেকে উৎসাহ পাবে আগামী প্রজন্ম। একজন বন্ধু অন্য বন্ধুকে উৎসাহ দিতে পারে। মা’বাবার পরে বড় ভাই তার ছোট ভাইকে উৎসাহ দিতে পারে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে পারে। সমাজের মুরুব্বীরা সমাজের যুবকদের এগিয়ে যেতে উৎসাহ দিতে পারে। এটাতো শুধু উৎসাহ নয়, এটা একটা প্রেরণা। এই প্রেরণার মাধ্যমে একটি ছেলে অথবা মেয়ের মনোবল আরো দৃঢ় হয়। আর এই দৃঢ় মনোবল নিয়ে হয়তো একদিন দেশের নাম উজ্জ্বল করবে তারা। কিন্তু সমাজের মানুষের ভেতর এমন চিন্তাধারা দেখা যায়না। আমরা যদি উৎসাহ দিতে না পারি তবে সমালোচনা করবোই বা কেন। সমালোচনা করা তাদের সাজে, যাদের উৎসাহ দেওয়ার ক্ষমতা আছে। আমাদের লেখা লেখিতেও এখন উৎসাহ, উদ্দীপনা, প্রেরণা মূলক কিছু থাকে না। আমরা শুধু ভুলটা তুলে ধরি, কিন্তু কেউ সেই ভুলের সমাধান কি হবে সেটা তুলে ধরি না। একজন মানুষ হয়ে অন্য মানুষের মনোবল ভেঙ্গে দেওয়াটা কখনোই মনুষ্যত্বের মধ্যে পড়ে না। তাই আমাদের উচিৎ উৎসাহ আর প্রেরণা দেওয়ার প্রবণতা বাড়ানোর। আর নিতান্তই যদি উৎসাহ দিতে না পারি তবে মনোবল যেনো ভেঙ্গে না দিই সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাই বলা যায় উৎসাহ দেওয়াটা যতটুকু ভালো তার চাইতে ভালো মনোবল ভেঙ্গে না দেওয়া।
লেখক : কলামিস্ট