২০১৯ সালে নারী অফিস সহকারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস হওয়ার ঘটনায় শাস্তি হিসেবে বেতন গ্রেড কমানো হয়েছে জামালপুরের সাবেক ডিসি আহমেদ কবীরের। একই সঙ্গে চাকরিকালে তিনি আর কোনো পদোন্নতি পাবেন না।
সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮-এর বিধি ৪(৩) (ক) মোতাবেক আহমেদ কবীরের এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তার পরিবার ও সন্তানদের সামাজিক অবস্থার কথা বিবেচনায় চাকরীচ্যুত না করে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নিম্নপদে নামিয়ে দেওয়ার শাস্তি দেওয়া হলে তিনি বিদ্যমান বেতনই পেতেন। আর বেতন গ্রেডের শাস্তি দেওয়ায় তার বেতন অর্ধেক কমে গেল। তবে তিনি বিদ্যমান পদেই বহাল থাকবেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ এর বিধি ৪(৩)(ক) মোতাবেক গুরুদণ্ড হিসেবে ০৩(তিন) বছরের জন্য নিন্মবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ করা হলো।
আরো পড়ুন: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকর এক দিনের সফরে ঢাকায়
আহমেদ কবীর উপসচিব হিসেবে বর্তমানে ৫ম গ্রেডে বেতন পান। শাস্তির কারণে এখন থেকে তিনি ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী ৬ষ্ঠ গ্রেডের সর্বনিম্ন ধাপের বেতন পাবেন। অর্থাৎ একজন সিনিয়র সহকারী সচিব পদোন্নতি পাওয়ার পর যে বেতন পান আহমেদ কবীর এখন সেটা পাবেন।
জামালপুরের ডিসি থাকাকালে সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা নামে এক নারীর সঙ্গে আহমেদ কবীরের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে তাকে ডিসি পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
চস/স