করোনা সংক্রমণ এক মাসের ঢিলেঢালা অভিযানের পর এবার কঠোর অভিযানে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন। বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ ও বিয়ে-সামাজিক অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ‘আজ থেকে সকল বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হল। এছাড়াও সকল কমিউনিটি সেন্টার ও কনভেনশন হলে বিয়ে-সামাজিক অনুষ্ঠান নিষেধ করা হয়েছে। তবে হোটেল-রেস্টুরেন্টে সেমিনার করতে পারবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। খেতে পারবেন ৫০ শতাংশ লোক। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তা করতে হবে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এসব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’
গত মাস থেকে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন। মূলত স্বাস্থ্যবিধি মানায় সচেতনতাসহ অনেকটা ঢিলেঢালা কর্মসূচিতে কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে বিনোদনকেন্দ্রের বিষয়ে কিছুটা কঠোর ছিল জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ টিম।
গতকাল জেলা প্রশাসনের চারটি টিম মাঠে ছিল। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত জিইসি মোড়, জিল্লুর রহমান কোতোয়ালী, ফাহমিদা আফরোজ এ কে খান মোড় ও আবদুল্লাহ আল নোমান চকবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। আজ বৃহস্পতিবার থেকে সকাল ও বিকেলে পাঁচটি করে ১০টি টিম মাঠে থাকবে।
আরো পড়ুন: বাজারে বোরো আসলে স্বাভাবিক হবে চালের দাম: কৃষিমন্ত্রী
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। তবে সেই নির্দেশনার পরও হার্ডলাইনে যাওয়ার পরিকল্পনা নেয়নি প্রশাসন। তবে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনার পর এবার কঠোর অবস্থানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গতকাল প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী করোনা সংক্রমণ রোধে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
জেলা প্রশাসক বলেন, যানবাহনের যাত্রী পরিবহনের বিষয়ে সরকার বিধি-নিষেধ জারি করেছে। তা মেনে চলতে হবে। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য মানুষকে অনুরোধ করেছেন তিনি।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ইতিমধ্যেই আমাদের আট জন কর্মকর্তা করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে। তারপরও মাঠে কাজ করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
তবে নগরীর তিনটি প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসানোর কথা বলেছিলেন জেলা প্রশাসক। কিন্তু এখনো সেই চেকপোস্ট বসানো হয়নি।
চস/স