spot_img

২৮শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার
১৩ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

কারামুক্ত হয়ে সাংবাদিকতা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা রোজিনার

কারামুক্ত হয়ে বের হওয়ার সময় অপেক্ষমান সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে রোজিনা ইসলাম বলেন, আমি অবশ্যই সাংবাদিকতা করব। রোববার (২৩ মে) বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে কারামুক্ত রোজিনা ইসলাম বের হয়ে যাওয়ার সময় একথা বলেন। এসময় রোজিনা ইসলামকে বিধ্বস্ত ও অসুস্থ অবস্থায় দেখা গেছে।

তার স্বজনেরা জানিয়েছেন, রোজিনা ইসলাম শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেকটা অসুস্থ। কারাগার থেকে বের করে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছি।

রোজিনা ইসলামের স্বজনরা আরও জানিয়েছেন, তার এমন দুঃসময়ে সকল স্তরের সাংবাদিক, দেশবাসী এবং তার সহকর্মীরা যারা তার মুক্তি চেয়েছেন এবং রাজপথে ছিলো তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

রোববার (২৩ মে) সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা দণ্ডবিধি ও অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন ভার্চুয়াল আদালত। পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকা ও পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে তিনি জামিন পান।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২০ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম বাকি বিল্লার ভার্চুয়াল আদালতে সাংবাদিক রোজিনার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন রোজিনার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি, আমিনুল গনি টিটু, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, প্রশান্ত কুমার কর্মকার ও আশরাফুল আলম। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন হেমায়েত উদ্দিন হিরোন।

আরো পড়ুন: করোনা: একদিনে আরও ২৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৩৫৪

আদালত শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন ও জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য রোববার (২৩ মে) দিন ধার্য করেন।

গত মঙ্গলবার (১৮ মে) রোজিনা ইসলামকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে তার জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (২০ মে) দিন ধার্য করেন।

এরপর রোজিনার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার তার চিকিৎসার জন্য আবেদন করেন। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী তার চিকিৎসার নির্দেশ দেন। এরপর প্রিজনভ্যানে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সোমবার (১৭ মে) রাতে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ উসমানী।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss