spot_img

২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, সোমবার
১৩ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

সিরিজ জিততে টাইগারদের প্রয়োজন ২৪১ রান

ওয়ানডে সুপার লিগের হিসাব বদলে দিয়েছে পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেট কাঠামো। ঝুঁকি আছে জেনেও তুলনামূলক দুর্বল দল জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ‘ম্যানেজ করে’ খেলছেন বাংলাদেশ দলের একদিনের ফরম্যাটের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী তিন ম্যাচের সিরিজে প্রতিটি ম্যাচ জয়ী দল পাবে ১০ পয়েন্ট করে। সে হিসাবে ৩০ পয়েন্টের লক্ষ্যে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে আগেই ১০ পয়েন্ট অর্জন করেছে বাংলাদেশ দল। আজ (রোববার) সিরিজ জয়ের সঙ্গে আরও ১০ পয়েন্টের জন্য তামিমদের প্রয়োজন ২৪১ রান।

এদিন হারারের স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। তবে বাংলাদেশি বোলারদের বিপক্ষে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে স্রোতের উল্টোদিকে গিয়ে ব্যাট করেন ওয়েসলে মাধেভেরে। খেলেন এই ফরম্যাটে নিজের ক্যারিয়ার সেরা ৫৬ রানের ইনিংস। সঙ্গে ব্রেন্ডন টেলরের ৪৬ রানের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২৪০ রানের সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে।

বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পেসার শরিফুল ইসলাম একাই নেন ৪ উইকেট। একে একে ফেরান টেলর, মাধেভেরে, লুক জংওয়ে ও ব্লেসিং মুজারাবানিকে। এছাড়াও সাকিব আল হাসান নেন ২ উইকেট। স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ হাতে চোট পাওয়ায় মাঠ ছাড়েন ৭ ওভার ২ বল করে। যেখানে একটি উইকেট নেন তিনি। এছাড়াও পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও ১টি করে উইকেট পান।

এদিন জিম্বাবুয়ের হয়ে ইনিংস শুরু করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ওপেনার টিনাশে কামুনহুকামউই। তাসকিনের বলে আফিফের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১ রান করে। আরেক ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানিও ইনিংস বড় করতে পারেননি। মিরাজের শিকারে পরিণত হন ১৩ রান করে। তৃতীয় উইকেটে ৪৭ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন রেগিস চাকাভা ও টেলর। চাকাভা ৩২ বলে ২৬ রান করে আউট হলে ভাঙে তাদের এই পার্টনারশিপ।

টেলর বড় রানের দিকে ছুটছিলেন, তবে বিস্ময়করভাবে আউট হন তিনি। আগেরবার টেলর কপাল জোরে বেঁচে ফিরেছিলেন, জুতো খুলে গিয়েও তা থেমে গিয়েছিল স্টাম্পের একটু আগে গিয়ে। কিন্তু দ্বিতীয়বার আর ভাগ্যদেবী মুখ তুলে তাকালেন না জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের দিকে। শরীফুলের শর্ট বলে আপার কাট করতে চেয়েছিলেন। ব্যর্থ হলেন, এরপর ব্যাট নামিয়ে আনতে গিয়ে তা লাগল স্টাম্পে। ৪৬ রানে সাজঘরের পথ ধরলেন তিনি।

এরপর মুজারাবানি দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। খেলেন ওয়ানডেতে ক্যারিয়ার সেরা ৫৬ রানের ইনিংস। সঙ্গে ডিওন মেয়ার্সের ৩৪ ও সিকান্দার রাজার ৩০ রানের কল্যাণে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২৪০ রানের পুঁজি পায় জিম্বাবুয়ে।

 

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss