কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে দুই-চারজন অমুসলিম কর্মী থেকে থাকেন। দেখা যায়, অনেকে তাদের সালাম দিয়ে থাকেন। কিন্তু অমুসলিমদের সালাম দেওয়া কি জায়েজ? অবশ্য বিভিন্ন আলেম ‘সুপ্রভাত’ ও ‘গুড মর্নিং’ ইত্যাদি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এখন জিজ্ঞাসার বিষয় হলো- কোনো প্রতিষ্ঠানে সবাইকে সালাম দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সেখানে যদি কোনো অমুসলিম কর্মী থাকেন, তাদের সালাম না দিয়ে অন্য কিছু বলাটা অসৌন্দর্য হিসেবেই দেখা হয়। তাহলে মুসলিম সহকর্মীর করণীয় কী? ভুল উচ্চারণে সালাম দিলে হবে কিনা?
এমন প্রশ্নের জবাব হলো- সালাম একটি দোয়া। ইসলামের নিদর্শন ও প্রতীক। গুরুত্ববহ একটি আমল। এর ভুল উচ্চারণ কিংবা ভুল ব্যবহারের সুযোগ নেই। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর কেউ আল্লাহর নিদর্শনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলে— এটা তো অন্তরস্থ তাকওয়া থেকেই উৎসারিত। (সুরা হজ, আয়াত : ৩২)
অনুরূপভাবে সালাম একজন মুসলিম ভাইয়ের উপর অপর মুসলিম ভাইয়ের অধিকার। সুতরাং একজন মুসলিম ভাই কেবল আরেক মুসলিম ভাইকেই দিতে পারবে। কোনো অমুসলিমকে সালাম দেওয়া যাবে না। এ মর্মে আল্লাহর রাসুল (সা.) স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘তোমরা ইহুদি ও খ্রিস্টানদের আগে বাড়িয়ে সালাম করো না।’ (মুসলিম, হাদিস : ২১৬৭)
আরও পড়ুন : নামাজে সালাম ফেরানোর নিয়ম
তবে কোনো অমুসলিম আগে সালাম দিয়ে ফেললে— উত্তরে তাকে ‘ওয়া আলাইকুম’ বলবে। কেননা, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন- “আহলে কিতাবগণ তোমাদের সালাম দিলে, তার উত্তরে তোমরা শুধু ‘ওয়া আলাইকুম’ বলবে। অর্থাৎ তোমাদের প্রতিও।” (বুখারি, হাদিস : ৬২৫৮; মুসলিম, হাদিস : ২১৬৭)
উল্লেখ্য, কোনো অমুসলিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে সৌজন্য প্রদর্শনস্বরূপ তার কুশলাদি জিজ্ঞাসা করে বা অন্য কোনভাবে যেমন, হাতের দ্বারা ইশারা করে কুশল বিনিময় করা এক ধরনের সৌন্দর্য। সে হিসেবে তাকে ‘আদাব’ বলা যেতে পারে। তবে কোনভাবেই তাকে ‘নমস্কার’ বা ‘নমস্তে’ বলা যাবে না। (রহিমিয়া : ৬/১২৬; কিফায়াতুল মুফতি : ৯/১০৬)
কেননা, ‘নমস্কার’ বা ‘নমস্তে’ শব্দটি হিন্দুদের বিশেষ সম্ভাষণবাচক শব্দ। সুতরাং এ শব্দ বলে কোনো হিন্দুকে সম্ভাষণ করা যাবে না। (আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল : ১/৫৪)
চস/আজহার