spot_img

৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, রবিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, পাবলিক পরীক্ষাও নিতে হবে দ্রুত

আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান- সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বহু শিক্ষার্থী পড়াশোনা থেকে ছিটকে পড়ছে দরিদ্রতার কারণে। জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন কাজে তারা জড়িয়ে গেছে পরীক্ষাগুলো করোনা সংক্রমণের কারণে যথাসময়ে না হওয়ায়। তাছাড়া অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেমে আসে হতাশা, হারিয়েছে ধৈর্য। এমন সময় তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ও পরীক্ষা হওয়ার কথা শুনে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। ১২-১৮ বছর ঊর্ধ্ব শিক্ষার্থীদের শিগগিরই মডার্না ও ফাইজারের টিকার আওতায় এনে অতিদ্রুত পাবলিক পরীক্ষাগুলোর রুটিন শিক্ষার্থীদের হাতে এক মাস সময় দিয়ে প্রকাশ করে পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করলে আরো ভালো হবে বলে মনে করি। কারণ এই মহামারি করোনা ভাইরাস যে কোনো সময় রূপ পরিবর্তন হয়ে সংক্রমণের হার আবারো বাড়তে পারে, তখন আবারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা আসলে একযোগে আর পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নাও হতে পারে। শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বিলম্ব হবে।

তাছাড়া দেশে গণটিকার ব্যবস্থা করা হলেও ঠিকা নিতে গিয়ে সাধারণ মানুষ দীর্ঘ লাইন ও হয়রানির শিকার হয়েছে। গণহারে টিকার কথা শুনে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে কেন্দ্রে গেলেও লোকজনকে টিকা না নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। কারণ জনসংখ্যার তুলনায় টিকার যে পরিমাণ আমদানি ও স্বল্পতা, সে পরিমাণ টিকা দিয়ে এত কোটি লোককে গণটিকার আওতায় আনাটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। তখন গণটিকা না পেয়ে গণহয়রানির শিকার হয়। তাছাড়া টিকা নিয়ে চলেছে ব্যবসা ও স্বজনপ্রীতি। যেহেতু টানা দেড় বছর ধরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দূরে ছিল, সশরীরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পরীক্ষা দিতে না পারায় তারা এখন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। তাই এখন সময় এসেছে শিক্ষার্থীদের আগে টিকার আওতায় এনে তাদের পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা। তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ ফিরে পাবে বলে মনে করছি। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে স্কুল-কলেজ। গত ৫ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো বলেন, জেএসসি, জেডিসি ও বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া থাকবে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে পরীক্ষা নেয়া হবে। আর ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে টিকা দেয়া হবে।

সরকারের এমন সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের মাঝে পড়াশোনার প্রতি মনোনিবেশ ঘটাচ্ছে। এই মনোনিবেশ ও প্রস্তুতি যাতে ব্যাহত না হয় সরকার সেদিকে নজর রাখবে। প্রয়োজনে দুই শিফটে বেঞ্চপ্রতি দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাবলিক পরীক্ষাগুলো নেয়ার সিদ্ধান্ত নেবে বলে মনে করছি। আশা করছি সরকার শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে দ্রুত জটে পড়া তাদের পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে আরেক ধাপ এগিয়ে আসবে।

এম এম মাঈন উদ্দীন রুবেল
সদস্য, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
[email protected]

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss