দেশে প্রযুক্তিভিত্তিক নানা আবিষ্কার-উদ্ভাবনে আসছে নতুন নতুন চমক-সাফল্য। তবে একে টেকসই ও কার্যকর করতে দরকার সরকারি প্রণোদনা। সাথে প্রয়োজন, বেসরকারি বিনিয়োগও। এ কথা বলছেন, বিশ্লেষকরা। আর প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টার মত, দক্ষ জনশক্তির জন্য, শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকেই গুরুত্ব দিতে হবে, প্রযুক্তি জ্ঞানকে।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অগ্রগতির অন্যতম কার্যক্রম এই সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন যন্ত্রের সংযোজন এবং নির্মাণ প্রক্রিয়া। গেলো বছর আন্তর্জাতিক মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রতিষ্ঠান স্যামসাং ৬ লাখ ফোর জি সেট সংযোজন করেছে বাংলাদেশে।
আর দেশিয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন তৈরি করেছে ১১লাখ সেট। শুধু মোবাইল সেটই নয় প্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন যন্ত্র তৈরির কারখানাও গড়ে উঠেছে দেশে। উৎপাদনের পর যা রপ্তানী হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। ফলে ডিজিটাল ডিভাইসের বৈশ্বিক বাজার, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
নিত্যনতুন ভাবনা নিয়ে কাজ করছেন দেশের উদ্ভাবকরাও। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি উদ্যোগ বা গবেষনাগার থেকেও আসছে চমক লাগানো অ্যাপ ও প্রযুক্তিপণ্য। তবে এসবের বানিজ্যিকীকরণের পরিসর আরও বাড়াতে সরকারি প্রণোদনার পাশাপাশি প্রয়োজন বেসরকারি বিনিয়োগও।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মতে, প্রযুক্তিপণ্য তৈরির জন্য প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি, যার শুরুটা হতে হবে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকেই।
সরকারের পক্ষ থেকে উদ্ভাবনের জন্য আর্থিক প্রনোদনা দিতে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানান প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।
দেশে ডিজিটাল পণ্যের যন্ত্রাংশের বাজার তৈরির পাশাপাশি বিদেশী বিনিয়োগ আনতে পারলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব বলে মনে করছেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র: চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর
চস/আজহার