spot_img

১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার
৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো হাটহাজারীর জোড় ইজতেমা

আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া গ্রামে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা। রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) এই ইজতেমা শেষ হয়।

ঈমান, তালিম, দাওয়াতিকাজ, ইসলামী শিক্ষা, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালের মুক্তির প্রত্যাশায় হেদায়াতি বয়ান শেষে মসজিদভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয়ে আখেরি মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য-সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব, সুখ-সমৃদ্ধি ও বিশ্বশান্তি এবং কল্যাণ কামনা করা হয়।

আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ফজরের নামাজের পর থেকে চর্তুদিক থেকে হাটহাজারী-নাজিরহাট মহাসড়ক দিয়ে ইজতেমাস্থলে হাজার মুসল্লির ঢল নামে। তাছাড়া ইজতেমা প্রাঙ্গণের আশেপাশের বাড়িঘরের উঠান ও আঙ্গিনায় বিপুল সংখ্যক মহিলারা ও আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। চারিয়া গ্রাম, ইজতেমাস্থল ও এর আশপাশ এলাকা পরিণত হয় কানায়-কানায়।

রবিবার আখেরি মোনাজাত অংশ নিতে শীত উপেক্ষা করে হাজার হাজার মুসুল্লি মহাসড়কে হেঁটে চারিয়া গ্রামে ইজতেমা ময়দানে এসে সমবেত হয়। সকাল নাগাদ ইজতেমার মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মুসল্লিরা মাঠের আশপাশের রাস্তা ও অলিগলিতে অবস্থান নেন। এছাড়া প্রায় লক্ষাধিক মুসল্লির ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ইজতেমাস্থলের শামিয়ানায় পৌঁছাতে না পারা তথা ইজতেমাস্থলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেক মুসল্লি মহাসড়ক ও সড়কে অবস্থান নেন। তারা পুরোনো খবরের কাগজ, পাটি, সিমেন্টের বস্তা ও পলিথিন বিছিয়ে বসে পড়েন। পার্শ্ববর্তী কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাসাবাড়ি, দোকান ও যানবাহনের ছাদে অবস্থান নেন মুসল্লিরা।

এর আগে বয়ান করেন ভারত থেকে আগত মাওলানা আবদুর রহমান, বাংলায় তর্জমা করেন মাওলানা নুরুর রহমান।

আখেরি মোনাজাত শুরু হয় দুপুর ১২টা ২৬ মিনিটে। কাকরাইল মারকাজ মসজিদের খতিব আল্লামা হাফেজ জুবাইর আহমদ তার সঙ্গে লাখো মুসল্লি দুই হাত তুলে ‘আমিন, আমিন ধ্বনি’ তোলেন। এ সময় লাখো লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির ‘আমিন, আমিন ধ্বনিতে’ মুখরিত হয়ে ওঠে হাটহাজারীর চারিয়া গ্রামসহ আশপাশের এলাকা। ১২টা ২৬মিনিটে থেকে ১২টা ৩৮ মিনিট পর্যন্ত আখেরি মোনাজাতে মহান আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে কেঁদে কেঁদে নিজেদের পাপমোচনে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন আখেরি মোনাজোতের অংশ নেওয়ার মুসল্লিরা। তারা পাপ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে আকুতি-মিনতি করেছেন। দেশ-জাতি-মানবতার কল্যাণ ও সমৃদ্ধি চেয়েছেন। মানুষের জন্য রহমত ও শান্তি কামনা করেছেন।

একই সঙ্গে ইসলামের আলোকে নিজেদের জীবন গঠন এবং সেভাবে জীবনযাপনে আল্লাহর সাহায্য কামনা করেন। এ সময় ইজতেমার ময়দান ও আশপাশের এলাকাজুড়ে লাগানো মাইকে অনেক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি বাসা-বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে যে যার মতো করে মোনাজাতে শরীক হন।

 

 

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss