‘কথা দিয়েছিলাম দুজনের এক সঙ্গে ঘর বাঁধবো। কিন্তু পরিবারের চাপে দুজন দুজনার কথা রক্ষা করতে পারছিলাম না। এজন্য আগাছানাশক পান করে দুজনে আত্মহত্যা করতে চাইছিলাম।’ সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রেমিকা কীটনাশক পান করার পরপরই পালিয়ে যান প্রেমিক। এমন ঘটনা ঘটেছে যশোরের চৌগাছা উপজেলার জগদীশপুর গ্রামে। এসময় ওই মেয়েকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটা ঘটেছে বুধবার (৮ জুন) সকাল ১০টার দিকে চৌগাছা উপজেলার জগদীশপুর গ্রামে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অসুস্থ প্রেমিকা স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। অভিযুক্ত টগর (৩০) চৌগাছা উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মেয়েটির মা জানান, তার স্কুলপড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে জগদীশপুর গ্রামের টগর নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্প্রতি তারা বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু কোনো পক্ষই তাদের বিয়ে মেনে নিতে রাজি হয়নি। বুধবার সকাল ১০টায় টগর তার মেয়েকে স্কুলের পেছনের মাঠে ডেকে নিয়ে জানায় তারা দুজন একসঙ্গে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করবে। সে নিজে কীটনাশক কিনে আনে। টগর তার মেয়ের হাতে কীটনাশক তুলে দিলে সে তা পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই সময় টগর পালিয়ে যায়। পরে স্কুলের শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তার মেয়েকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটি জানায়, ‘দুজন কথা দিয়েছিলাম এক সঙ্গে ঘর বাঁধবো। কিন্তু পরিবারের জন্য তা আর হয়নি। এজন্য আত্মহত্যা করতে চাইছিলাম দুজনে। কিন্তু টগরের প্রতারণার শিকার হলাম।’
ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ জানান, ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চস/আজহার