spot_img

২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার
১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

সাবেক সিভিল সার্জনসহ সাত জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

একটি এমআরআই মেশিনের বাজারমূল্য প্রায় দু’কোটি টাকা। কিন্তু এ মেশিনটি চট্টগ্রাম জেনালের হাসপাতাল কিনেছে ৬ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকায়। একইভাবে চারটি কালার ড্রপলার কেনা হয় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকায়। যদিও এই মেশিনের দাম মাত্র ৯৮ লাখ টাকা। শুধু দামি এসব মেশিনেই নয়। এমন অসংখ্য মেশিনের দুই-তিনগুণ দাম দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাত করেছেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ও অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরীসহ ৪ চিকিৎসক। তাদের এ কাজে সহযোগিতা করেছেন তিন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। যার প্রমাণ মিলেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের দীর্ঘ অনুসন্ধানে। গতকাল সোমবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়-চট্টগ্রাম-১-এ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বাদি হয়ে মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. মো. আবদুর রব, জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থো-সার্জারি) ডা. মো. মইন উদ্দিন মজুমদার, সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. বিজন কুমার নাথ, ঢাকার বেঙ্গল সাইন্টেফিক এন্ড সার্জিকেল কোং এর স্বত্বাধিকারী মো. জাহের উদ্দিন সরকার, ঢাকার মেসার্স আহম্দ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সী ফারুক হোসেন, ঢাকার এ এস এল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব আহমেদ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৯ মে থেকে ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত পৃথক পৃথক সময়ে তিনটি আলাদা কার্যাদেশের মাধ্যমে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়ে পরস্পর যোগসাজশে বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা ছাড়াই জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ভুয়া প্যাড, সিল-স্বাক্ষর ব্যবহার করে ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। দুদকের অনুসন্ধানে তৎকালীন সিভিল সার্জন ও জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী ১২টি ভারী যন্ত্রপাতি ক্রয়ে বাজারমূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দেখায়। যা দুদক দীর্ঘ দুই বছর অনুসন্ধান করে অভিযোগের সত্যতা পায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন বলেন, ‘পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা সরকারি অর্থ আত্মসাতের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় তিনটি কার্যাদেশের বিপরীতে ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা আত্মসাৎ করায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ করা হয়। এখন মামলাটি আমরা তদন্ত করবো। তদন্তে অন্য কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানায় এই কর্মকর্তা’।

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss