spot_img

২৭শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, রবিবার
১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

মুসাফাহা করার ফজিলত ও সওয়াব

পরস্পরের মাঝে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ইসলামের শিক্ষা। সম্পর্ক বজায় রাখতে আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করি। এরমধ্যে একে অপরের সাথে দেখা সাক্ষাৎ একটি পদ্ধতি। সাক্ষাতের সময় প্রথমেই আমরা সালাম বিনিময় করি এবং মুসাফাহা করি। এ সম্পর্কে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা একে অপরের সঙ্গে মুসাফাহা করো, এতে তোমাদের অন্তরে বিদ্যমান প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে। একে অন্যকে হাদিয়া প্রদান করো, এতে হৃদ্যতা সৃষ্টি হবে এবং শত্রুতা ও ঘৃণা দূরীভূত হবে।’ (আবু দাউদ : ৫২১২)।

হজরত বারা বিন আযেব রা. বলেন, ‘পরিপূর্ণ অভিবাদন হল তোমার ভাইয়ের সঙ্গে তোমার মুসাফাহা করা।’-(আল-আদাবুল মুফরাদ ৯৬৭)

হাদিসে আরো বর্ণিত হয়েছে, ‘দুজন মুসলমান যখন সাক্ষাতে মুসাফাহা করে, তাদের হাতের বন্ধন মুক্ত হওয়ার আগেই দুজনের গুনাহগুলো মাফ করে দেওয়া হয়।’ -(মুসনাদে আহমাদ : ৩/১৪২)

আল্লাহর রাসুল (সা.) এবং সাহাবায়ে-কেরাম নিয়মিত মুসাফাহা করতেন। আবুল খাত্তাব কাতাদাহ রা: থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি আনাস রা.-কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূল সা.-এর সাহাবিদের মধ্যে কি মুসাফাহা করার প্রথা ছিল। তিনি বলেন, হ্যাঁ। (বুখারি, ৬০৬৩)

আরেক হাদিসে হজরত আনাস রা: থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সা: বলেন, এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমাদের মধ্যে থেকে কেউ তার ভাইয়ের সঙ্গে কিংবা তার বন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করলে তার সামনে কি মাথানত করবে? তিনি বললেন, না। সে বলল, তাহলে কি তাকে জড়িয়ে ধরে চুমা দেবে? তিনি বললেন, না। সে বলল, তাহলে কি তার হাত ধরে তার সাথে মুসাফাহা করবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। (তিরিমিজি, ২৭২৮)

যেভাবে মুসাফাহা করবেন
নিয়ম হলো- দুই হাতে মুসাফাহা করা। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, (মুসাফাহার সময়) আমার হাতটি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দুই হাতের মধ্যে ছিল। (বুখারি, হাদিস : ৫/২৩১১) আর মুসাফাহার সময় এ দোয়া পড়বে— ‘ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়া লাকুম।’ মুসাফাহার পর হাত বুকে লাগানোর বিধান নেই, জরুরিও নয় বটে।

 

 

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss