দুপুর গড়িয়ে বিকেল। বর আর বরযাত্রীদের দেখা নেই। বিয়ের সাজে আর কত অপেক্ষা! শেষ পর্যন্ত প্রতিবেশী যুবককে বিয়ে করে ফেললেন কনে। বর ঠিকই এলেন। কিন্তু ফিরতে হলো কনে ছাড়াই। জুটেছে কিছু উত্তমমাধ্যমও।
ভারতের উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের ধামপুরে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় সংবাদ প্রতিদিন।
বিজনৌর পুলিশ জানায়, মাসখানেক আগেই একটি গণবিয়ে অনুষ্ঠানে বিয়ে হয় ওই দম্পতির। তবে বিয়ে হলেও তখন শ্বশুরবাড়ি যাননি কনে। ঠিক হয়েছিল, সামাজিক মতে ফের বিয়ে হবে। তারপরই বরের হাত ধরে শ্বশুরবাড়ি যাবেন তিনি।
বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়। কথা হয় দুপুর ২টার সময় কনে বাড়িতে পৌঁছে যাবেন বর। কিন্তু, বিয়ের দিন দেখা যায় দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও বর আসছে না। মূলত যৌতুকের দাবি-দাওয়া পুরোপুরি না মেটায় ঢিলেমি করছিল বরপক্ষ।
অন্যদিকে বরপক্ষ যা দাবি করছিল, তা পূরণ করা একপ্রকার অসম্ভব ছিল মেয়ের বাবার পক্ষে। শেষমেশ অবশ্য রাতের দিকে কনের বাসায় পৌঁছায় বর এবং বরযাত্রীরা।
কিন্তু ততক্ষণে অবশ্য কপাল পুড়েছে বরের। বরের জন্য অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত হয়ে পাত্রী অন্য কাউকে বরমালা দিয়ে ফেলেছেন।
কনেপক্ষের দাবি, বিকেল পর্যন্ত বরের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন তারা। কিন্তু, ততক্ষণে বর না আসায়, ধরে নেওয়া হয় বরপক্ষ আর আসবে না। তারপরই পাশের বাড়ির ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় মেয়ের।
বরপক্ষের অভিযোগ, তাদের শুধু অপমান করা হয়েছে তা-ই নয়, বরসহ বরযাত্রীদের ঘরে আটকে রেখে তাদের মারধর করা হয়। এমনকি গয়নাগাটিও কেড়ে নেওয়া হয়।
একপর্যায়ে বরপক্ষ পুলিশ ডাকতে বাধ্য হন। পরে পুলিশ এসে দুই পক্ষের মধ্যে মিটমাট করে দেয়।
চস/সোহাগ