spot_img

২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, সোমবার
৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

চট্টগ্রাম বন্দরে জুনে দুটি নতুন কনটেইনার স্ক্যানার বসছে

আগামী অর্থবছর শুরুর আগে জুনের মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরে অন্তত দুটি কনটেইনার স্ক্যানার বসাতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এজন্যে চীনা প্রতিষ্ঠান নাকটেক ইতিমধ্যে দুটি কনটেইনার স্ক্যানার চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছে এনবিআর সূত্র।

প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশি স্থানীয় প্রতিনিধি চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন স্ক্যানারহীন গেটগুলো পর্যবেক্ষণ করেছে। বন্দর ও কাস্টমসের সাথে বৈঠক করে দুটি গেটে দুটি ফিক্সড কনটেইনার স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি।

এর আগে চোরাচালান প্রতিরোধ, নিরাপত্তা ঝুঁকি ও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে মিথ্যা ঘোষণা প্রতিরোধে চট্টগ্রাম বন্দরে ৪টিসহ অত্যাধুনিক মোট ৬টি ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার বসাতে চীনা প্রতিষ্ঠান নাকটেক কোম্পানি লিমিটেডের সাথে ৪ জানুয়ারি এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে এক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ছয়টি স্ক্যানার বসানোর জন্য এই প্রকল্পে ব্যয় নির্ধারণ হয়েছে ১৪৭ কোটি ৯৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। চীনা প্রতিষ্ঠানটি স্ক্যানারগুলো স্থাপনের পর আগামী ৫ বছর সেগুলো রক্ষাণাবেক্ষণের দায়িত্বও পালন করবে।

উল্লেখ্য, এই ৬টি কনটেইনার স্ক্যানার স্থাপনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০২১ সালের সালের মার্চ টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করে। গত বছরের ৩১ মার্চ দরপত্র আহবান করার পর বিভিন্ন গ্যাঁড়াকলে ৪ বার পিছিয়েছিল টেন্ডারের তারিখ (২৪ জুন, ১৫ জুলাই, ৩ আগস্ট ও ২৫ আগস্ট)।

গতবছরের ২৫ আগস্ট টেন্ডার শেষে তিন প্রতিষ্ঠানের দরপত্র পাঠানো হয় মূল্যায়ন কমিটির কাছে। কিন্তু তাদের মধ্যেও যোগ্য প্রতিষ্ঠান পাওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে এনবিআর। এর প্রেক্ষিতে এস্ট্রোফিজিক্স ইনকর্পোরেশন নামের এক দরদাতা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বিভাগ ‘সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটে (সিপিটিইউ)’ এক অভিযোগ দাখিল করে। তবে এনবিআরের বিপক্ষে ওই অভিযোগ বাতিল করে সিপিটিইউ। পরে ওই দরদাতা উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেয়। সেখানেও রায় এনবিআরের পক্ষে যায় এবং কনটেইনার স্ক্যানার ক্রয়ের কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়।

পরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কাস্টমস অডিট, মডার্নাইজেশন এন্ড ইন্টারন্যাশনাল টেন্ডার) ড. আবদুল মান্নান শিকদার চলতি বছরের ২৬ মে পুনরায় একই দরপত্র আহ্বান করেন। যা এবার টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে এবং একনেকের অনুমোদন নিয়ে চীনা প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হল। এসব প্রক্রিয়া শেষ করতেই ২০ মাস সময় ব্যয় হলো।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের ১২টি গেটে স্ক্যানার আছে ৭টি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থ (জিসিবি) ১ নম্বর গেট এবং নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ৩ নম্বর গেটে আছে ‘এফএস ৬০০০’ সিরিজের অত্যাধুনিক ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার। চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) ২, ৪ ও ৫ নম্বর গেটে আছে একটি করে ‘এফএস ৩০০০’ মডেলের ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার। এছাড়া সিসিটি ২ ও জিসিবি ২ নম্বর গেটে রয়েছে একটি করে মোবাইল স্ক্যানার। তবে পুরোনো কয়েকটি স্ক্যানার মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে গিয়ে স্ক্যানিং কাজে ব্যঘাত ঘটায়। সূত্র: পূর্বকোণ

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss