spot_img

২৭শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, রবিবার
১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

রোজা ভঙ্গের কারণ ও কাজা-কাফফারা বিধান

যে সব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় এবং কাজা ও কাফ্ফারা উভয়ই ওয়াজিব হয় তা হচ্ছে ১. সহবাস ২. ইচ্ছাকৃতভাবে খাবার ও পানাহার করা ৩. ইচ্ছা করে বীর্যপাত ঘটানো। যে সব কারণে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায় তবে শুধু কাজা করলে চলে তা হচ্ছে

১. স্ত্রীকে চুম্বন/স্পর্শ করার কারণে বীর্যপাত ঘটলে।
২. ইচ্ছাকৃতভাবে মুখভরে বমি করলে
৩. পাথর, লোহার টুকরা, ফলের আঁটি ইত্যাদি গিলে ফেললে
৪. ভুলক্রমে কিছু খেতে আরম্ভ করে রোজা ভঙ্গ হয়েছে মনে করে পুনরায় আহার করলে।
৫. কুলি করার সময় পেটে পানি চলে গেলে
৬. মুখে বমি এলে পুনরায় তা পেটে প্রবেশ করালে
৭. দাঁতের ফাঁক থেকে খাদ্য কণা খেয়ে ফেললে
৮. রোজার নিয়ত না করে ভুল করে রোজা ভঙ্গ হয়ে গেছে মনে করে পানাহার করলে।
৯. পানাহারের বিকল্প হিসেবে রক্তগ্রহণ, স্যালাইন গ্রহণ, এমন ইঞ্জেকশন নেয়া যা আহারের কাজ করে, যথা- গ্লুকোজ, ইঞ্জেকশন ইত্যাদিতে রোজা ভেঙ্গে যায়।
১০. হাজামা বা শিঙ্গা লাগানো হলে: যে শিঙ্গা লাগায় ও যাকে শিঙ্গা লাগানো হয় উভয়ের সিয়াম নষ্ট হয়ে যায়। যেমন হাদীছে এসেছে, ‘শিঙ্গা যে লাগাল ও যাকে লাগানো হলো উভয়ে সিয়াম ভঙ্গ করল।’ (আহমদ)
১১. মহিলাদের হায়েজ (ঋতুস্রাব) ও নিফাস (প্রসবজনিত রক্তক্ষরণ) হলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
অনিচ্ছাকৃত বা উজরবশত ছুটে যাওয়া সাওমের বদলে কাজা আর উজরছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেয়া রোজার বদলে দিতে হবে কাফফারা।

উল্লেখ্য, কাজা মানে সমপরিমাণ রোজা আদায় করা আর রোজা না রাখার কারণে সুনির্দিষ্ট কিছু কর্তব্য পালন করা।

কাফ্ফারা তিন ধরনের
(১) গোলাম আজাদ করা, বর্তমানে যেহেতু দাস প্রথা নেই। ইসলাম ধাপে ধাপে দাস প্রথাকে উচ্ছেদ করেছে তাই দাস মুক্ত করে কাফফারা আদায় করার সুযোগ নেই।
(২) দু’ মাস বিরতিহীন সিয়াম পালন করা। এ বিরতিহীন সিয়াম পালন করতে গিয়ে সংগত কারণ ব্যতীত যদি বিরতি দেয়া হয় তবে আবার নতুন করে দু’ মাস সিয়াম পালন করতে হবে।
(৩) যদি বিরতিহীনভাবে দু’ মাস সিয়াম পালনের সামর্থ না রাখে তবে ষাট জন অভাবী মানুষকে খাদ্য দান করতে হবে। প্রত্যেকের খাদ্য হবে এক ফিতরার সম পরিমাণ।

 

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss