পবিত্র রমজান মাসকে তিন দশকে ভাগ করা হয়। রহমত, মাগফেরাত ও নাজাত। আজ (৩ এপ্রিল) দ্বিতীয় দশক তথা মাগফিরাতের প্রথম দিন। গতকাল শেষ হয়েছে রহমতের দশক। মাগফিরাত অর্থ মার্জনা, আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা ও গোনাহ থেকে নিষ্কৃতি লাভ।
গোনাহ করা মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। মানুষ ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় গোনাহ করে। এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। অস্বাভাবিক হলো গুনাহের উপর বছরের পর বছর অটল থাকা এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা না করা।
যারা শয়তানের কুপ্ররোচনায় গোনাহ করে ফেলে এবং গোনাহ থেকে মাগফিরাত লাভ করতে পারে না তাদের জন্য মাগফিরাত লাভের বিশেষ সুযোগ হলো আজ থেকে। আল্লাহ রমজানের দ্বিতীয় দশকে বান্দাদেরকে বেশি হারে ক্ষমা করেন।
গোনাহগার বান্দা অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি বান্দাকে ক্ষমা করেন। আল্লাহ হলেন পরম ক্ষমাশীল। তিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, হে আমার বান্দাগণ! তোমরা রাতদিন অপরাধ করে থাকো। আর আমিই সব অপরাধ ক্ষমা করি। সুতরাং তোমরা আমার কাছে মাগফিরাত প্রার্থনা করো, আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেব। সহিহ মুসলিম – ৬৪৬
রমজানের মাগফিরাতের এই দশকে ক্ষমা পেতে জিকিরের মাধ্যমে মহান আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে। আল্লাহকে বান্দা যত বেশি স্মরণ করবে আল্লাহও বান্দাকে ততবেশি স্মরণে রাখবেন। বান্দা যদি আল্লাহর স্মরণে থাকে তবে আল্লাহর নিকটবর্তী হবে। আর আল্লাহর নিকটবর্তী হলেই ক্ষমা পাওয়া সম্ভব হবে। কারণ কারো কাছে কিছু পেতে হলে তার নিকটে আসতে হয়। আল্লাহ তায়ালা পরম ক্ষমাশীল। বান্দার করণীয় হলো গোনাহের উপর অনুতপ্ত হওয়া এবং মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়া।
চস/স