জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। ২৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনের ওপরে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা সম্ভব বলেও মনে করে উচ্চ আদালত।
আদালত আদেশে বলেছে, বিএসএমএমইউ খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করতে সক্ষম নয়, এমন কথা বলেনি। তার উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এর আগে সকালে শুনানিকালে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাঠানো খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্টটি খোলা হয়। এরপর আদালত সবার সামনেই সেটি পড়ে শোনান।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার ডায়বেটিক, হাইপার টেনশন, অ্যাজমা ও বাতের সমস্যা রয়েছে। তবে এগুলো নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু নতুন করে শুরু হয়েছে ব্যাক পেইন। এই সমস্যাগুলোর অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্টের জন্য খালেদা জিয়ার অনুমতি না থাকায় তা শুরু করা যায়নি।
গত বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের রিপোর্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছে দেয়।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন বেগম জিয়া। এরমধ্যে প্রায় দশ মাস ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। গত ডিসেম্বরে তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। এবার জামিন পাবেন এমনটা আশা ছিল খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের। তবে এবারও মিলন না জামিন।
চস/সোহাগ