আজ (২৮ অক্টোবর) বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী। দেশের মুক্তির জন্য জীবনদানকারী এই বীরের গল্প নতুন প্রজন্মরা জানতে পাচ্ছে কমলগঞ্জের ধলই চা-বাগানে প্রতিষ্ঠিত বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান জাদুঘরের মাধ্যমে।
১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর এ দিনে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের সীমান্তে পাকিস্তানি সেনাদের ছোঁড়া গুলিতে শহীদ হন হামিদুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকার জন্য সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত হন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
হামিদুর রহমান ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খোরদা খালিশপুর গ্রামে ১৯৫৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আক্কাস আলী মণ্ডল এবং মায়ের নাম কায়মুন্নেসা।
মাত্র ১৮ বছর বয়সে শহিদ হওয়া সিপাহি হামিদুর রহমান ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ পদকপ্রাপ্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। হামিদুরের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের খোরদা খালিশপুর গ্রামে।
বিএনপি সরকার আমলে ধলই সীমান্তে ঘটনাস্থল এলাকায় চিরসবুজ চা-বাগানের মাঝে স্থাপন করা হয় বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ। বর্তমান সরকার এ স্মৃতিসৌধ এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে তথ্য ও চিত্র সমন্বয়ে এখানে গড়েছে বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান জাদুঘর।
দেশের মুক্তির জন্য জীবনদানকারী এই বীরের গল্প নতুন প্রজন্মরা জানতে পাচ্ছে কমলগঞ্জের ধলই চা-বাগানে প্রতিষ্ঠিত বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান জাদুঘরের মাধ্যমে।
২০০৭ সালে ২৭শে অক্টোবর হামিদুর রহমানের দেহ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন তৎকালীন সরকার। সেই অনুযায়ী ২০০৭ সালের ১০ই ডিসেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে কুমিল্লার বিবিরহাট সীমান্ত দিয়ে শহীদের দেহাবশেষ বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। ১১ই ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানকে ঢাকার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
চস/স