spot_img

২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, সোমবার
১৩ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

নেপালে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ১২৮

নেপালে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১২৮ জনে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধ্বংসস্তুপ থেকে এখন পর্যন্ত আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ১৪০ জনকে।

নেপালের জাতীয় দৈনিক দ্য কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার গভীর রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। নেপালের ন্যাশনাল ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের মতে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল জাজারকোট জেলা।

এই ভূমিকম্পের কম্পণ ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতেও অনুভূত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এনডিটিভি। নেপালের সীমান্ত থেকে নয়াদিল্লির দূরত্ব প্রায় ৮০০ কিলোমিটার।

নেপালের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ২৫০ মাাইল উত্তরপূর্বে অবস্থিত জাজারকোট জেলা ছিল এই ভূমিকম্পের এপিসেন্টার বা উৎপত্তিস্থল। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ব জরিপ সংস্থা তাদের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে— ভূপৃষ্ঠের ১১ মাইল গভীরে উৎপত্তি হয়েছে এ ভূমিকম্পের।

ভূমিকম্পে নেপালের হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বহু অঞ্চল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দুর্গম পার্বত্য অনেক এলাকায় এখনও পৌঁছাতে পারেননি সরকারি দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের কর্মী ও পুলিশ।

সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল জাজারকোট জেলার। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ২৪৫ মাইল উত্তরপূর্বে অবস্থিত এই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ৪৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাজারকোট পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট সন্তোষ রোকা।

জাজারকোটের নালগাড় শহরের ডেপুটি মেয়র সরিতা সিংও এই মৃতদের তালিকায় রয়েছেন বলে কাঠমান্ডু পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন রোকা। এছাড়া জেলার বিভিন্ন গ্রাম ও শহর থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৫৫ জনেরও বেশি মানুষকে।

এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নেপালের পশ্চিামঞ্চলীয় পার্বত্য জেলা পশ্চিম রুকুম। জেলা পুলিশের ডেপুটি সুপারিটেনডেন্ট নমরাজ ভট্টরাই জানিয়েছেন, পশ্চিম রুকুমের বিভিন্ন গ্রাম ও শহর থেকে এ পর্যন্ত ৩৬ জনের মরদেহ এবং আহত অবস্থায় ৮৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

জাজারকোট ও পশ্চিম রুকুমের পাশাপাশি নেপালের ভেরি, নালগাড়, কুশে, বেরেকোট ও চেদাগড়েও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে বলে কাঠমান্ডু পোস্টকে জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা।

নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ভূমিকম্পে হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল প্রচণ্ড শুক্রবার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে জাজারকোটের রামিডান্ডায় আঘাত হানা ভূমিকম্পে সৃষ্ট মানবিক ও বৈষয়িক ক্ষয়ক্ষতিতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং অবিলম্বে উদ্ধার ও ত্রাণ নিশ্চিতের জন্য ৩টি নিরাপত্তা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন।’

এর আগে ২২ অক্টোবর ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঠমান্ডু উপত্যকা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো কেঁপে ওঠে। তবে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনো খবর ছিল না। ২০১৫ সালে একটি ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরবর্তী ভূমিকম্পে প্রায় ৯ হাজার লোকের মৃত্যু হয় নেপালে। নেপাল বিশ্বের ১১তম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss