আজ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) থেকে মেডিকেল কলেজগুলোয় এমবিবিএসে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হয়েছে। আজ থেকে শুধুমাত্র বিদেশি শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১০ জানুয়ারি থেকে আবেদন করতে পারবেন দেশি শিক্ষার্থীরা। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার টাকা।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বরে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা-সংক্রান্ত সভা শেষে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীরা ৪ জানুয়ারি থেকে আবেদন করতে পারবেন। দেশি শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন ১০ জানুয়ারি থেকে। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আবেদনের সুযোগ পাবেন।
তিনি আরও বলেন, ২৪ জানুয়ারি থেকে ভর্তির জন্য ফি জমা নেওয়া হবে। রোল বা আসন বরাদ্দ করা হবে ২৬ জানুয়ারি থেকে। পরীক্ষার প্রবেশপত্র বিতরণ করা হবে ৫ জানুয়ারি।
ভর্তি পরীক্ষায় অটোমেশন পদ্ধতি চালু হওয়ায় পরীক্ষা শেষে কোনো তদবির করা ছাড়াই উপযুক্ত মেধাবী প্রার্থীরা এ বছর সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহজে ভর্তির সুযোগ পাবেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে আসন বাড়ানো হয়েছে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ১ হাজার ৩০টি আসন বেড়েছে। এর ফলে এবার সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ৩৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবেন। এ ছাড়া বেসরকারি মেডিকেলের জন্য আসন রয়েছে ৬ হাজার ৩৪৮টি। আর্মি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জন্য ৩৭৫টি আসন বরাদ্দ করা হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম নম্বর (পাস নম্বর) গতবারের মতো এবারও ৪০ রাখা হয়েছে। মাইগ্রেশনের সময় আমরা তিনবার দিচ্ছি। বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির জন্য সব কলেজকে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা সব কলেজে চয়েজ একবারে দিতে পারবেন, সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতেও একই নিয়ম বহাল রাখা হয়ছে।
পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সময় উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এবং ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা ৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে দুই পরীক্ষা।
২৪ ডিসেম্বরের ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি থাকা দ্বিতীয়বার ভর্তি–ইচ্ছুকদের ১০ নম্বর কাটা হবে। এ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় জেলা কোটা বাতিল করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্ধারিত সময়ে আসন পূরণ করা না গেলে সেসব আসনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন।
সভা সূত্র জানায়, অনেকেই মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেন। পরবর্তীকালে ভালো কোথাও ভর্তির সুযোগ পেলে পূর্বের আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। সরকারের অর্থ এতে অপচয় হয়। এ বিষয়ে কঠরতার জন্য মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তি থাকা দ্বিতীয়বার ভর্তি–ইচ্ছুকদের ১৫ নম্বর কাটা নিয়ে আলোচনা হয়। পরে সবার পরামর্শে ১০ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি নেই, এমন শিক্ষার্থীদের জন্য আগের মতো ৫ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত বহাল আছে।
জানা গেছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২০ শতাংশ জেলা কোটা বাতিল করা হয়েছে। এদিকে এক মাস আগে আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে বন্ধ থাকবে সব কোচিং সেন্টার।
চস/স