spot_img

২৭শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, রবিবার
১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

ঠাকুরগাঁওয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড

ঘন কুয়াশা আর ঠাণ্ডা বাতাসে ঠাকুরগাঁওয়ের তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৯ ডিগ্রিতে। কিশোরগঞ্জ, পাবনা, দিনাজপুর, মেহেরপুর এবং চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। জবুথবু রাজধানীবাসীও। ঠাণ্ডায় দুর্ভোগে ছিন্নমূল মানুষেরা।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) ৭টায় ঠাকুরগাঁওয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। এরই মধ্যে ক্ষতির মুখে পড়েছে ইরি-বোরোর বীজতলা।

আবহাওয়া অধিপ্তদরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো না আসায় গত কিছুদিন ধরে দিনের তাপমাত্রা সারা দেশে গড়ে ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি কম থাকছে। রাতের তাপমাত্রা তেমন কমেনি। এতে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ায় শীতের অনুভূতি অনেকটাই বেড়ে গেছে। এটা জানুয়ারি মাসে মাঝেমধ্যেই হয় এবং টানা তিন-চার দিন থাকে। এই অবস্থা আগামী সোমবার পর্যন্ত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায় না। শনিবারও সূর্যের দেখা মিলেছিল শেষ বিকেলে। তাও ১০ মিনিটেরও কম স্থায়ী হয়েছে। ফলে শীতের তীব্রতা এই এলাকায় একটু বেশিই রয়েছে।

শীতের কারণে সমস্যায় পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। ঠিকভাবে কাজ করতে না পারায় তাদের আয় উপার্জনে ব্যাঘাত ঘটছে। আবার একটু কাজ করতেই নাজেহাল হয়ে পড়ছেন। শীত নিবারণের জন্য পুরাতন মোটা কাপড়ের (হকার্স মার্কেট) দোকানগুলোতে ভিড় করছে মানুষজন। এই শীত ও ঘন কুয়াশা কৃষকদেরও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঠে থাকা আলু ও টমেটো খেতে দেখা দিয়েছে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব। আবার বোরো চারাও ঠিকভাবে অঙ্কুরোদগম হচ্ছে না।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া এলাকার কৃষক আশরাফুল বলেন, আমার কয়েকটি জমির আলুর পাতায় মোড়ক দেখা দিয়েছে। এটি মূলত শীত ও ঘন কুয়াশার কারণেই। এখন ঘন ঘন বালাইনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। যাতে আমার উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

মিলনপুর এলাকার কালাম জানান, বোরো বীজতলায় বীজ বপন করলেও চারা গজাচ্ছে না। শীতের কারণে চারা একটু কম গজায়। আবার যেগুলো গজিয়েছে সেগুলোও লাল বর্ণ ধারণ করছে। অনেক সময় মরে যাচ্ছে।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss