পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমারের অবস্থা কখনো একটু ভালো হয়, আবার কখনো একটু খারাপ হয়। এ পরিস্থিতি সবসময় বিরাজমান। আমরা আশা করি, এ পরিস্থিতি সবসময় থাকবে না। আমরা অতি দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারব।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, চীন, ভারত, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। কারণ, বর্তমানে দেশে জনগণের সরকার রয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি কখনোই ভালো ছিল না, তবে বাংলাদেশের আশা পরিস্থিতি ভালো হবে এবং দ্রুতই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, সুবিধাজনক সময়ে প্রধানমন্ত্রী চীন সফর করবেন।
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের জুলাই নাগাদ বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি শুরু করবে চীন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউএন প্রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। সেখানে তার সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যু যেন ইন্টারন্যাশনাল স্পটলাইট থেকে হারিয়ে না যায়, কারণ ২০১৭-২০ সাল পর্যন্ত রোহিঙ্গা ইস্যু যেভাবে ইন্টারন্যাশনাল স্পটলাইটে ছিল পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলো, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হলো, তখন রোহিঙ্গা ইস্যু ইন্টারন্যাশনাল স্পটলাইট থেকে কিছুটা হলেও দূরে সরে গেছে। এটি যেন না হয়, সেজন্য তার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এর বাইরে যেভাবে ইউএন সেক্রেটারি জেনারেল আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ব্যক্ত করেছেন, আমার কাছে করেছেন, বিশ্বমণ্ডলে বিভিন্ন জায়গায় করে চলেছেন, সেগুলো সঙ্গে ইউএন হিউম্যান রাইটস অফিসের মাঝে মধ্যে যে বিবৃতিগুলো এসবের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হচ্ছে, সেই বিষয়েও আমি আলোচনা করেছি। কারণ তারা বায়াসড ও রং সোর্স থেকে ইনফরমেশন পায়। তিনি বলেছেন, এ বিষয়টি তিনি দেখবেন।
চস/স