দেশের চলমান বন্যায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫২ জন মারা গেছেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ফেনীতে জেলায়।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী রেজা।
এর আগেরদিন মঙ্গলবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিলো ৩১। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ জনের মৃত্যুর খবর এলো।
জেলাভিত্তিক মৃতের সংখ্যা হলো- কুমিল্লা-১৪, ফেনী-১৭, চট্টগ্রাম-৬, খাগড়াছড়ি-১, নোয়াখালী-৮, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-১, লক্ষীপুর-১, কক্সবাজার-৩ ও মৌলভীবাজারে ১ জন। এছাড়া মৌলভীবাজারে এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
মৃতদের মধ্যে ৩৯ জন পুরুষ, ৬ জন নারী এবং ৭ জন শিশু রয়েছে বলে জানান কেএম আলী রেজা। বন্যাদুর্গত এলাকায় সাপের কামড়, পানিতে ডুবে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েও মারা গেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, সব মন্ত্রণালয় মিলে সমন্বয় সভা করেছি। সেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ও ছিলো। পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট ও স্যালাইন মজুদ আছে।
বন্যা আক্রান্ত জেলার সংখ্যা আগের মতোই ১১ টিই আছে। এগুলো হলো- ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার।
আলী রেজা বলেন, সিলেট ও হবিগঞ্জে থেকে আজকের তথ্য অনুযায়ী, বন্যার পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে।
এদিকে বন্যা প্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৪৯২টি। ১১ জেলায় পানিবন্দি রয়েছে ১০ লাখ ৭২ হাজার ৫৭৯ পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫৪ লাখ ৮০ হাজার ৪৬৩ জন।
অতিরিক্ত সচিব আরী রেজা বলেন, পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মোট তিন হাজার ৪০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং সেখানে ৫ লাখ ২ হাজার ৫০১ জন মানুষ এবং ৩৬ হাজার ৪৪৮টি গবাদি পশু আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য ৫৯৫টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।
চস/স