প্যারিসে জমকালো আয়োজনে ব্যালন ডি’অরের ৬৮তম আসরে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও আকাঙ্ক্ষিত পুরস্কার জিতলেন স্প্যানিশ ফুটবলার রদ্রি হার্নান্দেজ। অথচ সপ্তাহখানেক আগে থেকেই পুরস্কারজয়ী হিসেবে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের নাম ফাঁস করা হয়।
অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টা আগে জানা যায়, ভিনিসহ রিয়াল মাদ্রিদের অন্যরাও অনুষ্ঠান বয়কট করতে যাচ্ছেন। কারণ তারা জানতে পেরেছেন পুরস্কার তাদের হাতে উঠছে না। অনুষ্ঠান চলাকালে এই দাবির প্রতিক্রিয়ায় আয়োজকেরা জানান, তারা কেউই জানেন না বিজয়ীর নাম।
অবশেষে স্পেন ও ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার রদ্রিগো হার্নান্দেজের হাতেই ব্যালন ডি’অর ওঠার মাধ্যমে সব নাটকীয়তার ইতি ঘটেছে। তাকে বহুল কাঙ্ক্ষিত এই গোল্ডেন বল তুলে দিয়েছেন ১৯৯৫ ব্যালনজয়ী ফরোয়ার্ড জর্জ উইয়াহ।
এক্ষেত্রে রদ্রি পেছনে ফেলেছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভিনিসিয়ুস জুনিয়রসহ শর্টলিস্টে থাকা ২৯ তারকা ফুটবলারকে। ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর জুরি বোর্ডে স্বাভাবিকভাবে এই স্প্যানিশ তারকাই সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। এরপর ভোটের নিরিখে যথাক্রমে অবস্থান ভিনিসিয়ুস, জ্যুড বেলিংহ্যাম, দানি কারভাহাল, আর্লিং হালান্ড, কিলিয়ান এমবাপে ও লাউতারো মার্টিনেজের।
প্রেস্টিজিয়াস এই পুরস্কার নিতে এদিন (মঙ্গলবার) ক্রাচে ভর দিয়েই প্যারিসের থিয়েটার দু শাটলেটে প্রবেশ করেন রদ্রি। গতমাসে প্রিমিয়ার লিগে আর্সেনালের বিপক্ষে ম্যাচে এসিএল চোট পেয়ে তিনি বর্তমানে মাঠের বাইরে রয়েছেন। এ নিয়ে ৬৪ বছর পর স্পেনের কোন পুরুষ ফুটবলার হিসেবে ব্যালন জিতলেন রদ্রি।
সর্বশেষ ১৯৬০ সালে বার্সেলোনার স্প্যানিশ তারকা লুইস সুয়ারেজ আকর্ষণীয় এই পুরস্কার জিতেছিলেন, স্পেনের পুরুষ ফুটবলে সেটাই ছিল এতদিন একমাত্র। এছাড়া ম্যানচেস্টার সিটির তারকা ফুটবলাররা ব্যালনের জন্য মনোনীত হলেও এর আগে কারও ব্যালন পাওয়ার নজির ছিল না। সেদিক থেকেও রদ্রি প্রথম।
রদ্রি গত মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৬৩টি ম্যাচ। যেখানে গোল করেছেন ১২টি ও এসিস্ট ১৬টি। ওই মৌসুমে তার দখলে গেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও স্পেনের জার্সিতে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। ক্লাব আর জাতীয় দলে সমান পারফরম্যান্সের বিচারেই ব্যালন পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন রদ্রি।
এবারের ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন আফ্রিকান কিংবদন্তি ও আইভরিকোস্টের সাবেক তারকা দিদিয়ের দ্রগবা এবং ফরাসি সংবাদমাধ্যম লেকিপে’র সংবাদকর্মী স্যান্ডি হেরিবার্ট।
চস/স