ফ্রান্সে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ১১ মে থেকে শর্তসাপেক্ষে লকডাউন তুলে নেয়া হবে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে জানিয়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলেছে সরকার। দেশটিতে গত ১ দিনে নতুন করে ৫৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ৮০ জন।
দীর্ঘ প্রায় ২ মাস পর ১১ মে শর্তসাপেক্ষে ফ্রান্সের লকডাউন তুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। এখন থেকে আগের মতো বাইরে বের হলে সাথে প্রত্যয়নপত্র রাখার ব্যবস্থা না থাকলেও ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকার একটা বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়েছে। তবে ১০০ কিলোমিটারের বাইরে যদি কেউ যেতে চান তার কাছে প্রমাণপত্র থাকতে হবে।
আরো পড়ুন: করোনা মৃত্যু ২ হাজার ছাড়ালো ভারতে
আক্রান্ত ভেদে পুরো ফ্রান্সকে লাল-সবুজ অঞ্চল করে ভাগ করা হয়েছে। ইলদো ফ্রান্সের ৮টি ডিপার্টমেন্ট এখনও লালজোনের আওতায় রয়েছে বলে জানা গেছে। আর এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা বসবাস করেন।
রাজধানী প্যারিস রেড জোনের আওতায় থাকায় সেখানকার জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলতে হবে। ১১ মে লকডাউন তুলে নেয়া হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগবে বলে মনে করছেন দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
প্রবাসী একজন বাংলাদেশি বলেন, দীর্ঘ প্রায় ২ মাস পরিবার নিয়ে ঘরে অবস্থান করেছি। যদিও সরকার লকডাউন তুলে নিচ্ছে কিন্তু এ মরণব্যাধি থেকে আমরা এখনও মুক্ত না।
আরেক প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও অনেক সময় লাগবে। এজন্য সরকার যে বিধি বিধান দিছে সেটি মেনে চলতে হবে।
ফ্রান্সে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কমরে এসেছে। আগামী ১১ মে লকডাউন তুলে দেয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে হয়তো এই ধারাবাহিকতা থাকবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।চস/সোহাগ