চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচনের প্রতিটি ভোট কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। একই সঙ্গে থাকছে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকাও; ভোট হবে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে।
রোববার (১২ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সিনেট কক্ষে এ সভা হয়েছিল। সভায় অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, বিদ্যুৎ চলে গেলেও ফুটেজ সংরক্ষিত থাকবে। প্রতি কেন্দ্রে দুইটি করে মেডিকেল টিম থাকবে। ১৪ অক্টোবর থেকে পরিচয়পত্র ছাড়া কেউ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না। ভোটের দিনও কেবল পরিচয়পত্র নিয়েই ভোটকেন্দ্রে যাওয়া যাবে।
উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সব দাবি অগ্রাধিকার তালিকায় রেখেছি। নির্বাচনের দিন চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। তবে আমাদের আসল শক্তি শিক্ষার্থীরা। তাঁদের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, ‘ভোটের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪টি প্রবেশপথের মধ্যে ৭টি বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে ২৪টি পয়েন্টে নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা বাইরের নিরাপত্তা বিষয়টি দেখব। প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুরোধ ছাড়া যে ভবনে ভোট হবে, সেখানে করব না।’
এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা সব প্রার্থীর ডোপ টেস্ট সম্পন্ন করেছি। এটি আমাদের মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। নির্বাচনের দিন শিক্ষার্থীদের চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শাটল ট্রেনের সূচি বাড়ানো হয়েছে, পাশাপাশি অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন এ সভার সঞ্চালনা করেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সহ–উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী, অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন, নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী প্রমুখ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালে। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আগামী বুধবার আবার ভোট হতে যাচ্ছে। এবার মোট ভোটার প্রায় ২৭ হাজার, যার মধ্যে ছাত্রী প্রায় সাড়ে ১১ হাজার।
চস/স