spot_img

৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শনিবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

রমজান সামনে রেখে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানির ব্যস্ততা

রমজান ঘিরে পণ্য কেনার প্রস্ততি নিতে শুরু করেছে চট্টগ্রামের আমদানিকারকরা। এ অবস্থায় ব্যাংকের ঋণপত্র খোলায় সহযোগিতা চাইছেন তারা। এরইমধ্যে রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি খোলায় বাংলাদেশ ব্যাংক আগের চেয়ে নমনীয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।

আমদানিকারকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কম থাকায় রোজায় ছোলা, ডাল চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমবে। অসাধু চক্রের কারসাজি ঠেকাতে এখনই নজরদারি বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের।

রমজানের এখনও বাকি তিন মাসের বেশি। কিন্তু এরই মধ্যে রমজান ঘিরে ব্যবসার প্রস্ততি নিতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে ছোলা, চিনি, খেজুর, তেল সহ যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে সেসব পণ্যের আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

রমজানের ছোলা ও ডাল জাতীয় পণ্যের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যায়। বিশেষ করে দেশে পুরো বছর জুড়ে ছোলার চাহিদা থাকে প্রায় দেড় লাখ টন। আর শুধু রমজানে পণ্যটির চাহিদা থাকে ৯৫ হাজার থেকে ১ লাখ টন। বর্তমানে বিশ্ববাজারে পণ্যটি কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসেবে আমদানি খরচসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে এবারের রমজানে পাইকারিতে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় ছোলা পাওয়া যাবে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।

আমদানিকারক মোহাম্মদ মহিউদ্দীন বলেন, ‘বিদেশে ছোলার দাম কমে গেছে। যে ছোলা দুই মাস আগে ৭০০ ডলার বুকিং ছিলো তা এখন বুকিং ৫০০ ডলারে হচ্ছে।’

সালমা ট্রেডার্সের প্রতিনিধি জুয়েল মহাজন বলেন, ‘ছোলার বাজার ৭০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে থাকবে বলে আশা করছি। মোটর ডাল ৪০ থেকে ৫০ টাকা আশা করছি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকবে রমজানে।’

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত খেজুর উৎপাদন চলে। বর্তমানে ভরপুর মৌসুম হওয়ায় পণ্যটির দামও বিশ্ববাজারে কিছুটা কম বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। সৌদি আরব, আরব আমিরাত, তিউনিসিয়া, মিসরের মতো দেশ থেকে খেজুর আমদানি হয়। ব্যবসায়ীদের মতে, দেশে বছরে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টন খেজুরের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে শুধু রমজানেই প্রায় ৬০ হাজার টন চাহিদা থাকে। পণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এরইমধ্যে ট্যারিফ কমিশন পণ্যটির আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং উৎসে কর ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্কবাধা কেটে গেলে ভোক্তা কম দামেই খেজুর পাবেন।

ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘যতটুকু খবর পেয়েছি এবার কমবে মনে হচ্ছে। এভার সিজনের মধ্যে খুব উইক দেখাচ্ছে।’

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রোজার আগেই আমরা চাল, গম ইত্যাদি আনছি। বাকিগুলোও কমানো যাবে। আপনারা জানেন এরইমধ্যে এলসি খোলার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক একটু লিবারেল রয়েছে। গতবার আমরা যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবার তা বাস্তবায়ন করবো যাতে করে দামটা সহনীয় হয় রোজার সময়।

এদিকে, বিশ্ববাজারে ক্রমাগত কমছে চিনির দাম। চলতি বছর পুরোটা সময় ধরেই কিছু না কিছু করে কমেছে এই নিত্য পণ্যটির দাম। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪১৭ ডলারে। জ্বালানী তেলের দাম কমা এবং ব্রাজিলে চিনির ভালো উৎপাদনের কারণে এ পণ্যের দাম আর কমবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানকে কেন্দ্র করে এখনও পণ্য দেশের বাজারে ঢুকা শুরু করেনি। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই পণ্য আসতে শুরু করবে। আর পাইকারি বাজারে পণ্য বেচাকেনা শুরু হবে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে। সূত্র: এখন টিভি

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss