spot_img

৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার
২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ডেস্ক রিপোর্ট

সর্বশেষ

৭ ঘণ্টায় ১২ লাখ টাকা নির্বাচনী অনুদান পেলেন ডা. তাসনিম জারা

জনগণের কাছে নির্বাচনের তহবিল চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা। এজন্য নিজের বিকাশ পার্সোনাল নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট প্রকাশ করেছেন।

ওই পোস্টের পর আরেক পোস্ট তাসনিম জারা জানিয়েছেন, মাত্র ৭ ঘণ্টায় ১২ লাখ টাকার বেশি অনুদান পেয়েছেন তিনি। তিনি লেখেন, ‘মাত্র ৭ ঘণ্টায় আপনারা ১২ লাখ টাকারও বেশি পাঠিয়েছেন। এতটা অভূতপূর্বভাবে আপনারা পাশে দাঁড়াবেন, তা সত্যিই আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল। আপনাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।’

তাসনিম জারা আরও জানান, তার মোট লক্ষ্যমাত্রা ৪৬,৯৩,৫৮০ টাকা। আর ৩৪ লাখ টাকা সংগ্রহ সম্পন্ন হলেই ফান্ডরেইজিং বন্ধ করে দেবেন তিনি।

এর আগে আরেক পোস্টে তিনি জানান, বিকাশ একদিনে সর্বোচ্চ লেনদেনের সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। ফলে এই মাধ্যমে এদিনের জন্য আর লেনদেন করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্য মাধ্যমগুলোতে টাকা পাঠানোর অনুরোধ করেন তিনি।

অনুদান চেয়ে দেওয়া পোস্টের ৪ ঘণ্টা পর তিনি জানান ৫ লাখ ২৬ হাজার টাকা পেয়েছিলেন তিনি।

এ সংক্রান্ত প্রথম পোস্টে তাসনিম জারা লিখেন, নির্বাচনে একজন প্রার্থী আইনগতভাবে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ বা ভোটার প্রতি ১০ টাকা খরচ করতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে শোনা যায় একেকজন একজন প্রার্থী ২০ থেকে ৫০ কোটি টাকা খরচ করেন। অথচ নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে বলেন মাত্র পঁচিশ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। ফলে প্রায় সকলের সংসদে যাওয়ার যাত্রাটা শুরু হয় আইন ভাঙা ও মিথ্যা বলার মাধ্যমে।

তিনি লিখেন, আমি এ অসততা ও মিথ্যার রাজনীতি করবো না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি যে, আইনে অনুমোদিত টাকার বাইরে আমি এক টাকাও খরচ করবো না। অনেকে বলেছেন, এত অল্প বাজেটে নির্বাচন করা অসম্ভব। আমি তাদের বলেছি, নতুন বাংলাদেশ গড়তে অন্য উপায় নেই।

জারা লিখেন, নির্বাচনের খরচ যখন ১০ কোটি বা ২০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় তখন সেই টাকা তোলার জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর চাঁদাবাজি আর টেন্ডারবাজি করাটা তাদের জন্য ‘বাধ্যতামূলক’ হয়ে দাঁড়ায়। এভাবেই রাজনীতিটা সাধারণ মানুষের হাত থেকে ছিনতাই হয়ে মুষ্টিমেয় কিছু সিন্ডিকেটের হাতে চলে যায়।

এ সংসদ সদস্য প্রার্থী আরও লিখেন, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী এ নির্বাচনে আমি মোট ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫৮০ টাকা ব্যয় করতে পারবো। আমি এ টাকাটা আপনাদের কাছ থেকে চাই।

এনসিপির এ নেত্রী লিখেন, আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও বিকাশ নম্বর দিচ্ছি। এগুলো একদম নতুন অ্যাকাউন্ট। কত টাকা আসছে আর কত খরচ হচ্ছে, প্রতিটি টাকার হিসাব আমি স্বচ্ছভাবে আপনাদের সামনে প্রকাশ করবো, প্রমাণসহ।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss