spot_img

৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, রবিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

রোগ নিরাময়ে লবঙ্গের কার্যকারিতা

রান্নায় মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয় লবঙ্গ। রোগ নিরাময়ে লবঙ্গের কার্যকারিতা গবেষণায় বার বার উঠে এসেছে। এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা-

১. লবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা ফ্রি রেডিকেলস কমাতে সাহায্য করে। লবঙ্গের একটি উপাদান হল ইউজেনল, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে।

২. এক চা চামচ (৫ গ্রাম) লবঙ্গে পাওয়া যায় কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন কে ও ম্যাঙ্গানিজ়। মস্তিষ্কের বিভিন্ন কাজকর্ম সুষ্ঠু রাখতে ও হাড় শক্ত করতে ম্যাঙ্গানিজ় খুব জরুরি। ম্যাঙ্গানিজের একটি উৎকৃষ্ট উৎস হল লবঙ্গ।

৩. লবঙ্গের আর একটি উপাদান হল নাইজেরিসিন। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই উপাদানের জন্যই রক্ত থেকে শর্করা বিভিন্ন কোষে পৌঁছে দেওয়া, ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলোর কার্যক্ষমতা বাড়ানো ও ইনসুলিন নিঃসৃত হওয়ার পরিমাণ বাড়ানোর মতো কাজ ভালোভাবে হয়। তাই মধ্য মাত্রার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে লবঙ্গ ভালো কাজে দেয়।

৪. সর্দি-কাশি, সাইনাসের ব্যথায় লবঙ্গ তেল মালিশের কথা অনেকেই জানেন। এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণের জন্যই দাঁতের ব্যথায়ও এটি খুব উপকারী। নিয়মিত লবঙ্গ দেওয়া মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করলে মাড়ি সুস্থ থাকে। ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে দাঁত বাঁচায়।

৫. সংক্রমণ, স্ট্রেস বা জিনগত কারণে পেপটিক আলসার বা স্টমাক আলসারের সমস্যা বাড়ে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, লবঙ্গের এসেনশিয়াল অয়েল গ্যাসট্রিক মিউকাসের উৎপাদনে সাহায্য করে। এই মিউকাসই সংক্রমণের হাত থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা করতে ঢাল হিসেবে কাজ করে।

৬. লো-বোন মাস এমন একটি অবস্থা, যা বয়োজ্যেষ্ঠদের মধ্যে অস্টিয়োপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কয়েকটি পরীক্ষায় দেখা গেছে, লবঙ্গের উপাদান হাড়ের জোর ও বোন ডেনসিটি বাড়াতে সাহায্য করে।

কীভাবে খাবেন লবঙ্গ:

১. সর্দি লাগলে লবঙ্গ দেওয়া চা খাওয়া হয়। গার্গল করার সময়ে জলে লবঙ্গ দিলে ওর ঝাঁঝে অনেকটা উপশম হয়।

২. গরম পানিতে পাঁচ মিনিট লবঙ্গ ফুটিয়েও সেই পানি পান করা যায়।

৩. কাঁচা লবঙ্গ চিবিয়ে বা লবণ মাখিয়ে খাওয়া যায়।

৪. মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়।

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss