spot_img

১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার
৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

এবারের বইমেলা নগরবাসীর জ্ঞান ও মননের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে: চসিক মেয়র

এবারের বইমেলা নগরবাসীর জ্ঞান ও মননের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

ডা. শাহাদাত বলেন, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও বিপ্লবের তীর্থভূমি বীর চট্টলা। সৃজনশীল, মননশীল, বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গড়তে বইমেলা বড় ভূমিকা রাখবে। মেলায় প্রায় এক লাখ বর্গফুটের জিমনেশিয়াম মাঠজুড়ে ১৪০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের স্টল ৭৪টি ও ঢাকার স্টল ৪৪টি।

তিনি বলেন, নগরবাসীর জ্ঞান ও মননের আকাঙ্ক্ষা পূরণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ, চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজ, মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের সৃজনশীল প্রকাশকদের অংশগ্রহণে এ মেলা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম চত্বরে ২৬ দিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলা শুরু হতে যাচ্ছে। উদ্বোধন করবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

মেয়র বলেন, আমরা আশা করছি এবারের বইমেলা অন্যবারের চেয়ে অনেক বেশি লেখক-পাঠক সমাগমে ভরপুর হয়ে উঠবে। ইতোমধ্যে মেলার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা ও ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এবার মেলাপ্রাঙ্গণে থাকছে দৃষ্টিনন্দন ‘শহীদ জিয়া স্মৃতি পাঠাগার’; এছাড়াও নিরাপত্তার স্বার্থে পুরো মেলাপ্রাঙ্গণ সিসিটিভি নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত থাকবে। মেলা কার্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত আসন থাকবে।

মেয়র আরও বলেন, মাসব্যাপী বইমেলার অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে- রবীন্দ্র উৎসব, নজরুল উৎসব, লেখক সমাবেশ, যুব উৎসব, শিশু উৎসব, মুক্তিযুদ্ধ উৎসব, ছড়া উৎসব, কবিতা উৎসব, মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারির আলোচনা, লোক উৎসব, তারুণ্য ও ছাত্র সমন্বয় উৎসব, নারী উৎসব, বসন্ত উৎসব, মরমী উৎসব, আবৃত্তি উৎসব, নৃগোষ্ঠী উৎসব, পেশাজীবী সমাবেশ, কুইজ প্রতিযোগিতা, চাটগাঁ উৎসব, বইমেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ। মেলায় প্রতিদিনের বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় দেশের প্রথিতযশা লেখক-কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ অংশ নেবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মেলা মঞ্চে প্রতিদিন শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন, রবীন্দ্র-নজরুল, লোকসঙ্গীত, সাধারণ নৃত্য, লোকনৃত্য, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা, দেশের গানের আয়োজন করা হবে। মেলাকে আকর্ষণীয় করার লক্ষ্যে চট্টগ্রামের লেখক, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিকর্মী ও বইপ্রেমীদের নিয়ে বিভিন্ন উপপরিষদ গঠন করা হয়েছে। তাদের সহযোগিতায় প্রতিদিনের অনুষ্ঠানমালা সাজানো হয়েছে। মেলা মঞ্চে প্রতিদিন মুক্তিযুদ্ধের জাগরণী ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশিত হবে।

এতে আরও জানানো হয়, এই মেলায় চট্টগ্রামের সর্বস্তরের লেখক-পাঠক ও সৃজনশীল নাগরিকদের অংশগ্রহণে সংস্কৃতি ও মননের উৎকর্ষের পাশাপাশি ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতির সম্মিলন ঘটবে। এছাড়াও জাতীয় জীবনে যেসব ব্যক্তি কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাদের একুশে সম্মাননা স্মারক পদক ও সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হবে।

চস/স

 

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss