লাইসেন্স নবায়ন বন্ধের অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে পণ্য শুল্কায়ন কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) মালিকরা।
আজ বুধবার (১৮ মে) সকাল থেকে কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় আমদানি পণ্যের শুল্ক আদায় হচ্ছে না। তবে বেসরকারি ডিপোগুলোতে রপ্তানি পণ্যের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছেন, যেসব প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স নীতিমালার শর্ত পূরণ করতে পারেনি শুধুমাত্র সেই প্রতিষ্ঠানের নবায়ন কার্যক্রম হচ্ছে না; ফলে অযৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছে সিঅ্যান্ডএফ মালিকরা। সকল শর্ত মেনে আবেদন করলে এক ঘণ্টায় লাইসেন্স নবায়ন করে দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, প্রায় আড়াইশ লাইসেন্স নবায়ন না করায় আমরা কাস্টমস হাউসে শুল্কায়ন কাজ বন্ধ রেখেছি। এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নবায়নের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত ছাড়া আমরা কাজে যোগ দেব না।
নবায়ন না হওয়া প্রতিষ্ঠানে কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ কর জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিহিংসা থেকেই লাইসেন্স নবায়ন করা হচ্ছে না। এতে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে যাবে। লাইসেন্স নবায়নের সঙ্গে সরকারি রাজস্ব জড়িত নেই। যেগুলোর সঙ্গে রাজস্ব জড়িত সেদিকে তাদের নজর নেই। ল্যাবরেটরিতে লোক নেই, কাস্টমসে যে জনবল থাকার কথা তার অর্ধেকও নেই; সার্ভার চলে না ঠিক মতো। এসব বিষয়ে দৃষ্টি না দিয়ে মানুষের কর্মসংস্থান বন্ধ করতে বসে আছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন রিজভী দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, লাইসসেন্স নীতিমালার সকল শর্ত পূরণ করেছে; কিন্তু নবায়ন হয়নি এমন একটি প্রতিষ্ঠানও নেই। যেগুলো নবায়ন হচ্ছে না সেগুলো শর্ত পূরণ করতে পারেনি। চট্টগ্রাম কাস্টমসে প্রায় ৩ হাজার লাইসেন্স আছে। কেবল ৬৫ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নবায়ন হয়নি। সুনির্দিষ্ট কারণেই লাইসেন্স নবায়ন হয়নি। শর্ত পূরণ করে আবেদন করলে নবায়ন করতে এক ঘণ্টাও লাগবে না।
চস/স