spot_img

১৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

বাবা দিবসে তারুণ্যের ভাবনা

পৃথিবীর সকল বাবার জন্য ভালোবাসা

বাবা মানে বটগাছের শীতল ছায়া, ভয়হীন ভরসা, পরম নির্ভরতা। বাবা মানে নিজের সবটুকু দিয়ে সন্তানকে, পরিবারকে আগলে রাখা। বাবাকে ভালোবাসার হাজার হাজার কারণ থাকলেও বাবাদের অনেক সময় সেসব কথা বলা হয়ে উঠে না। বাবাকে বলতেও অনেকের ভয় হয়। রাগি ওই মানুষটার আড়ালে একজন সুপ্ত, দয়ালু, নির্ভরতার প্রতিক যে আছে সেটা আমরা ভুলে যাই। আমাদের কাছে বাবা মানেই রাগি মনে হয়। যে কারণে অনেক সময় মুখফুটে বাবাকে ভালোবাসি সেটাও বাবার সামনে বলার সাহস পাই না। আজ জুন মাসের তৃতীয় রবিবার (১৮ জুন) বিশ্ব বাবা দিবস। বাবাদের এই বিশেষ দিনে বাবাকে নিয়ে তরুণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাবাকে নিয়ে মন্তব্য এবং ভাবনা শুনেছেন চট্টগ্রাম সময়ের রিপোর্টার আজহার মাহমুদ। সেসব ভাবনা তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য।

আব্বার জন্য চোখ দুটি মোর ঝর্ণার সমার্থক

বাবা একটি বটবৃক্ষের নাম। যে বটবৃক্ষ নিজে প্রখর সূর্যতাপে পুড়ে পরিবারকে তাঁর সুশীতল ছায়ায় রাখে। আমার বাবাকে আমি আব্বা ডেকেই অভ্যস্থ। আশ্চর্যজনকভাবে তাঁকে আমি কতটা ভালোবাসি তা কখনো বুঝাতে পারিনা। বরং যতটা ভালোবাসি, আমার কথাবার্তায় বা কর্মকান্ডে ঠিক যেন তার বিপরীতটা প্রকাশ পেয়ে যায়। এতে বাবা খুব মর্মাহত হন, মাঝে মাঝে কাঁদেনও। এটা পরিবারের সবাই দেখে। কিন্তু আমার বোবা কান্না কেউ দেখেনা। বাবাকে অনাকাঙ্ক্ষিত কষ্ট দেওয়ার পর সেই অনুশোচনায়, সেই ক্ষোভে, সেই ঘৃণায় নিজেকে ধিক্কার দিতে দিতে আত্মাকে ক্লান্ত করে ফেলি।

আব্বা রোজ পাঁচবার করে আমাকে ফোন করেন। ঢাকায় আসার পর থেকে আরো বেশি। কিন্তু এখন কথা হচ্ছেনা। দিনে ছয়বার করে কথা না হওয়ার যন্ত্রণা রোজ বাড়ছে। বাবা নিশ্চয়ই রোজ নিয়ম করে কাঁদছেন। কিন্তু রাত দ্বিপ্রহরে আমিও ভিতরটা চুরমার করে কাঁদতে কাঁদতে শেষরাতে ক্লান্ত হয়ে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়ি। এভাবেই কাটছে আব্বার মনে করা ‘আমার ভীষণ ভালো সময়’। আমার মাঝে মাঝে খুব করে ইচ্ছে করে তাঁকে জড়িয়ে ধরে বলি বাবা হয়নি বলা একটি কথা, ভালোবাসি তোমাকে।

মুহম্মদ রাসেল হাসান
শিক্ষার্থী, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, ঢাকা

বাবার কাছে সন্তানরা সবসময়ই ছোট

ছোটবেলা থেকেই বাবাকে দেখতাম রাগী রাগী ভাব নিয়ে থাকতো। খুব একটা মিশার সুযোগ হতোনা আমাদের ভাই বোনদের, তবে কখনো কিছু আবদার করলে সেটা ঠিকই কোননা কোনভাবে পেয়ে যেতাম। মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির বাবা গুলো মনে হয় এমনই হয়। তবে বাবার ভালোবাসা তখনই প্রকাশ পেত, যখন আম্মু বকা দিত কোন কারণে, সবসময় প্রত্যক্ষ বা প্ররোক্ষভাবে আমাকেই সাপোর্ট করে যেত, এখনো বাবার সাথে কোথাও বের হলে হাত ধরে রাস্তা পার করায়। কিছু বললেই বলে “বেশি পন্ডিতি করিসনা আগে বড় হও”।
বাবার কাছে প্রশ্ন করি আর কবে বড় হবো? কত বয়স হলে তাকে বড় হওয়া বলে? উনি চুপ করে থাকে। হয়তো নিরবে এটাই বলে, বাবার কাছে সন্তানরা সবসময়ই ছোট-ই থাকেরে বোকাৃ!

সামছুন নাহার
শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ফেনী সরকারি কলেজ।

বাবা সন্তানের জন্য আশীর্বাদের কারণ

প্রতিটি সন্তানের জন্যই বাবা বিধাতা প্রদত্ত বিশেষ উপহার। সবার জীবনেই বাবা আলোর ঝিলিক হয়ে থাকে, যার পরশে সন্তানের ভবিষ্যত উজ্জ্বল এবং আলোকিত হয়। বাবারা কখনোই নিজের সুখের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে না বরং নিজের সুখকে চিরতরে বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে সন্তানের সুখ নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে আমৃত্যু লড়াই করে যায়। বাবার ভালবাসার কথা হয়তো কখনও মুখে উচ্চারিত হয় না, কিন্তু সারাদিন কাজ শেষে বাবার নিথর দেহ, ছেঁড়া জামা, সন্তানের সামনে ক্লান্ত শরীর নিয়েও মুক্ত ঝরা হাসি সাক্ষ্য দেয় ভালবাসার মূর্ত প্রতীক হয়ে। বাবা সর্বদা বটবৃক্ষের ন্যায় সন্তানকে আগলে রাখে, যার স্নিগ্ধ ছায়াতলে আশ্রয় পায় প্রতিটি সন্তান। প্রতিযোগিতার লড়াইয়ে টিকে থাকতে সবচেয়ে কাছের এবং প্রিয় মানুষটিও হয়ে দাঁড়ায় সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। বিপদের সময় কাউকে পাশে পাওয়া যেখানে অকল্পনীয় সেখানে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে সকল সমস্যার সমাধান হয়ে সন্তানকে রক্ষা করে যান বাবা।

জুবায়েদ মোস্তফা
শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

বাবা মানে একটি বটবৃক্ষ

একজন মানুষের জীবনে যিনি সত্যিকারের হিরো তিনি হলেন তার বাবা। বাবা মানে একটি বটবৃক্ষ। বাবা মানে একাই একটি প্রতিষ্ঠান। বাবা মানে পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক । সন্তানের ভবিষ্যতের সকল সম্ভাবনা গুলি তিল তিল করে তৈরি করে তোলেন একজন বাবা।বাবা মানে সমস্ত কষ্ট লুকিয়ে রেখে সন্তানের জন্য হাজারো চেষ্টা। এই পৃথিবীতে একজন সন্তানের জীবনের ভালোবাসা পরিপূর্ণতা লাভ করে তার বাবার মাধ্যমে।বাবা মানে গাম্ভীর্যের আড়ালে লুকিয়ে থাকা কোমল মনের একজন মানুষ।বাবা মানে রাগান্বিত সেই ব্যাক্তি। বাবা মানে তার কাঁধে তুলে চারপাশ দেখানো সেই প্রিয় মুখ। বাবা কে নিয়ে যতই লিখি না কেন বাবা সম্পর্কে কোনভাবেই পরিপূর্ণভাবে বলা সম্ভব না। আসলে কিছু বাক্যের মাধ্যমে বাবার সম্পর্কে বর্ণনা করা বা বাবাদের ত্যাগের কথা বলা সম্ভব নয়।

মো. জুবাইল আকন্দ।
শিক্ষার্থী, ইমপেরিয়াম ইন্টারন্যাশনাল কলেজ।

বাবা শব্দে হাজার গল্প গাঁথা

বাবা, দুই অক্ষরের এই শব্দে জড়ানো অগনিত ঋণ। বাবা আছে মানেই তপ্ত রোদে মাথার উপর থাকা শান্তির ছায়া বা প্রবল ঝড়ের দিনে মাথার উপরে একটা মজবুত ছাতা থাকা। বাবারা সহজে কাঁদে না, কিন্তু ক্লান্ত শরীরের ঘাম ভেজানো শার্টটাই বলে দেয় বাবাদের আত্নত্যাগের কথা। বাবাদের চোখের কড়া শাসনের আড়ালেও চাপা পড়ে থাকে অসংখ্য ভালোবাসা। তবে আমরা অনেকেই সেই ভালোবাসা খুব কমই উপলব্ধি করে থাকি। শাসনের জালে আটকা পড়ে শত শত অভিমান জমাই হৃদয়ে। বাবাকে কখনো বলা হয়নি ভালোবাসি বাবা। বাবার ভালোবাসার কাছে আমার বাবাকে ভালোবাসার পরিমাণ হয়তো শস্যদানা পরিমাণ। জীবনের এক জটিল অসুস্থতার সময়ে বাবাকে পাশে পেয়েছিলাম ছায়ার মতোন। রাতে নাইট ডিউটি করে সারাদিন মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ির গল্পটা আমার জীবনের সেরা গল্প।ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবারা।

হালিমা বিবি
শিক্ষার্থী, ইবনে সিনা নার্সিং ইনস্টিটিউট, কল্যাণপুর ঢাকা।

বাবাকে ভীষণভাবে মিস করি

দিনটা ছিল ২৪ মার্চ, ২০১৯। কে জানতো সেদিনটাই বাবার সাথে আমার শেষ কথোপকথন হবে ! সেদিন তিনি শুনলেন, আর কয়েকদিন পর সুদূর সিলেট থেকে তাঁর একমাত্র আদরের মেয়ে তাঁর বুকে ফিরবে। দীর্ঘ সময় পরে বাবার বুকে মেয়ে ফিরবে। তখন যে কি সুন্দর একটা মুহূর্ত তৈরি হয়েছিল, বলে বোঝানো যাবে না।

এদিকে আমার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল। দু’দিন ধরে বাবাকে কল দেওয়া হচ্ছে না। এ সময়টাই তাঁর সাথে আমার দূরত্ব চিরজীবনের মতো বেড়ে গেলো। দু’দিন পর চলে এলাম বাবার কাছে। শেষবারের মতো দেখতে চেয়েছিলেন। নাহ, তাঁর মেয়েকে আর দেখতে পেলেন না। এতবার করে ডাকলাম, একবারও চোখ খুলতে পারলেন না। চিরজীবনের মতো চলে গেলেন। এরকম তো কথা ছিল না, বাবা। শেষ সময়েও আমাকে দেখতে পারলেন না, এটা আমি কখনও মানতে পারি না। আজ চারটা বছর পেরিয়ে গেছে, আপনাকে সবসময় আমার মাঝে অনুভব করি। আপনার ব্যক্তিত্বকে ধারণ করার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে একান্ত ব্যক্তিগতভাবে আপনার সাথে আলাপ করি। কখনও কখনও উত্তর আসে না, ভীষণ ভেঙ্গে পড়ি। নির্জনে একলা কাঁদি। সেই সময়টাতে আপনার ডাক শুনতে পাই। নির্জনেই কথা বলি, হাজারো স্মৃতিচারণ করি। আবার স্বাভাবিক হয়ে ফিরি।

আমি বাবাকে ভীষণভাবে মিস করি। বাবা যখন ছিলেন, তখন কখনও বুঝতে পারতাম না তাঁর অনুপস্থিতি কতটা যন্ত্রণাদায়ক। জানি, সবার কাছে বাবা মানে অন্যরকম একটা অনুভূতি। যিনি বটবৃক্ষের ছায়া হয়ে পরিবারের সবাইকে আগলে রাখেন। চারপাশের কঠিন বাস্তবতাকে বুঝতে দেন না। আমার কাছে বাবা মানে আমার সমস্ত আনন্দ- সুখ-আহ্লাদ-আবদার। আমার সার্বক্ষণিক পরামর্শদাতা। যাঁর কাছে আমি ভালোটাকে ভালো এবং মন্দটাকে মন্দ বলতে শিখেছি। যাঁর কাছে আমি শিখেছি, কীভাবে কঠিন মূহূর্তগুলোতেও স্থির হয়ে থাকতে হয়। তিনি আঘাতগুলোকে আমাদের কাছে ঘেষতে দেন নি, কিন্তু সে মুহূর্তের উদাহরণগুলো ভালোভাবে উপলব্ধি করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। দেখেছি, নিজে কতটা শক্ত মনোবলের সাথে কতকগুলো শিক্ষিত অমানুষদের ভিড়ে যুক্তিসহকারে নিজেকে উপস্থাপন করতেন। যে কারণে তিনি পরিণত হয়েছিলেন বিশ্বাস ও ভরসার মানুষ। এ বিশ্বাস ও ভরসা নিয়ে তিনি মানুষের জন্যে কাজ করেছেন। মাঝে মাঝে বাবাকে বলতাম, ‘এসব কাজের কোনো প্রতিদান তো পান না’। তিনি হাসিমুখে বলতেন, ‘যেখানে প্রতিদানের প্রত্যাশা থাকবে, সেখানে কোনো উপকার করতে যাবা না। পারলে উপকার করবে, না পারলে চুপ থাকবে কিন্তু কোনো ক্ষতি করবে না’।

কথাগুলোর গভীর অর্থ আছে। নিঃস্বার্থভাবে মানুষের জন্যে কাজ করা মানুষগুলো সত্যিই মহামূল্যবান। সেরকম একজন বাবার মেয়ে হয়ে গর্বিত আমি। বাবা দিবসে আমার বাবাকে নিয়ে বলতে গেলে হাজারো কথা বলতে ইচ্ছে করে। আমাদের মাঝে তাঁর শারীরিক উপস্থিতি নেই, কিন্তু আগের চেয়ে আরও বেশি তাঁর উপস্থিতি অনুভব করি। বাবাকে আমি ‘আব্বা’ ডাকতাম। আব্বা আমার কাছে এক আবেগের নাম, যে আবেগের স্থান আমার কাছে সব সময় সবকিছুর উপরে থাকবে। আব্বার সাথে আমার কোনোদিনও মনোমালিন্য হয় নি, বেঁচে থাকলে এখনও হতো না। ভুল করলে সুন্দর করে বুঝিয়ে দিতেন অথবা শাসনের সময় আদরসূলভ ধমক দিতেন। তখন বুঝতে পারতাম কাজটা ভুল হচ্ছে, সেদিকে আর যাওয়া যাবে না। আমার সাথে এমন বন্ধুসূলভ ছিলেন, যাঁর কাছে নির্দ্বিধায় সব কথা বলতে পারতাম। শুধু বাবা দিবসে না, প্রতিদিনেই বলতে চাই- ‘আব্বা, অনেক বেশি ভালোবাসি আপনাকে, আমার নিজের চেয়ে বেশি। মহান রাব্বুল আলামীন আপনাকে ভালো রাখুন’।

মোমেনা আক্তার
ধুনট, বগুড়া।

বাবারা সন্তানের জন্য অক্সিজেন স্বরুপ

মানুষ বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন যতটুকু প্রয়োজন, একজন সুস্হ -সাবলীল, আদর্শবান সন্তান পৃথিবীতে বিচরণ করাটার মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে “বাবা” নামক সেট বট বৃক্ষ। যার কাছে বাবা নামক বটবৃক্ষ নেই,পৃথিবীর প্রশান্তিময় এবং সিগ্ধ বাতাস থেকে তাঁরা বঞ্চিত। একজন “বাবা” সন্তান কোন আবদার করলে সহজে না বলতে পারে না। “না” শব্দটা কেন জানি তাঁদের ডিকশনারির ভিতরে খুবই কদাচিৎ বিচরণ। প্রতিটা সন্তানের বেড়ে ওঠা থেকে তার সফলতার সর্বোচ্চ সিঁড়িতে ওঠা পর্যন্ত বাবাদের অবদান থাকে সন্তানের সফলতায় বাবারা হাঁসে। যাদের বাবা নেই, পৃথিবীতে সবকিছু ও যদি তাঁর থেকে থাকে তবে জীবনের ডায়েরিতে মূল্যবান কিছু পৃষ্ঠা অপূর্ণ থেকে যায়। সন্তানের সফলতার পিছনে বাবাদের কষ্ট,শ্রম এবং প্রতিটি ঘামের কণা এটাই সাক্ষ্য দেয় যে, বাবারা সত্যি-ই সন্তানের জন্য অক্সিজেন স্বরুপ। পৃথিবীর সকল বাবাদের প্রতি রইল বাবা দিবসে ভালবাসা।

মো.আব্দুল করিম গাজী
শিক্ষার্থী, আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদ্রাসা, ফেনী।

বাবা একাই একটি প্রতিষ্ঠান

বাবা মানে বটবৃক্ষ, তিনি একাই একটি প্রতিষ্ঠান। বাবা এমন একজন ব্যক্তি, যিনি যেকোনো পরিস্থিতিতে আগলে রাখেন, ছায়ার মতো পাশে থাকেন, নির্ভরতা দেন। নিজের শত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও সন্তানদের সুরক্ষিত রাখেন, সন্তানের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিতেও পিছপা হন না। আপাতগম্ভীর খোলসের আড়ালে থাকে তাঁর অন্য রূপ। একজন বাবা তার সন্তানের জন্য ঢাল স্বরূপ কাজ করে। যে কোন বিপদে-আপদে সবার আগে যেই মানুষটি পাশে থাকে তিনি হলেন বাবা। শত কষ্ট, ত্যাগ সবকিছু বাবার কাছে তুচ্ছ সন্তানের মঙ্গলের জন্য। প্রচুর পরিশ্রম করে শুধুমাত্র সন্তানের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য, সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য। একজন বাবা যেমন সন্তানের জন্য, পরিবাবের সবার মূখে হাসি ফোটানোর জন্য কত-শত পরিশ্রম করে। কত কষ্ট হাসিমুখেই সহ্য করে নেয়। তেমনিভাবে প্রতিটা সন্তানেরই উচিত বাবার কষ্টগুলোকে মূল্যায়ন করা। বাবারা সন্তাদের যেভাবে আদর-যত্ন করে বড় করে, লালন-পালন করে, সন্তানদেরও উচিত বাবাকে সেই ভাবে ভালোবেসে, সম্মান এবং সেবা যত্ন করা। তাহলে পৃথিবীর সমস্ত বাবারাই ভালো থাকবে। আর প্রতিটা সন্তানও সুখী হবে।

জেসমিন আক্তার
শিক্ষার্থী, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, জয়নাল হাজারী কলেজ, ফেনী।

‘আচ্ছা বাবা দিবস হয় না?’

মা-বাবা শুব্দটা যত মুধুরই হোক না কেন বাবার জায়গাটা কখনো মা নিতে পারে না, মায়ের জায়গাটাও বাবা নিতে পারে না।বারারা ঠিক মায়ের মতো না।তারা একটু দূরের,তবে কঠিন চেহারা তাদের।বেশিরভাগ ঘরের বাইরে থাকেন,অত সহজে হাসেন না।পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে বা যেকোন সমস্যায় বাবা সম্মুখ যোদ্ধার মতোন ভূমিকা রাখে। তাঁর মধ্যে কোন ক্লান্তি বা অবসাদ দেখা যায় না।বাবার কাছে কোন কিছু চাইলে তিনি কখনো না করেন না। আবার বাবার কোন কিছু দেয়ার সামর্থ না থাকলেও তিনি ভবিষ্যতে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন।এই বাবাকেই কোনো-না-কোনো সময় ঠিক চিনে ফেলি আমরা সন্তানেরা। বাইরে তিনি যত কঠিন ভেতরে ততটাই কোমল। ভরসা, ছায়া ও পরম নির্ভরতার প্রতীক তিনি। একটা কথা মনে রাখতে হবে, বাবার পেশা যাইই হোক না কেন এই পেশাকে সম্মানের সহিত দেখতে হবে আমাদের। ফেইজবুকে মা দিবস দেখে আমার বাবা একদিন বলেছিলো, আচ্ছা বাবা দিবস হয় না? আমি বললাম, হয় তো, দেরি আছে। জানাবো আপনাকে। আজ আলাদাভাবে স্মরণ করার দিনে পৃথিবীর সকল বাবার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো।

তারেক আল মুনতাছির
শিক্ষার্থী, ওমরগণি এম.ই.এস কলেজ, চট্টগ্রাম।

 

চস/আজহার

 

 

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss