spot_img

৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার
১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

শিক্ষার্থীদের ভাবনায় শোকাবহ আগস্ট

আগস্ট মানে বাঙালির শোকের মাস, বেদনার মাস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে আগস্ট কতটা শোকাবহ সেটা ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়। বাঙালির ইতিহাসে কলঙ্কিত এক অধ্যায় সূচিত হয়েছে এ মাসেই। ১৯৭৫ সালের এ মাসেই বাঙালি জাতি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সেদিন ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামালসহ পরিবারের মোট ২৬ জন শহীদ হয়েছেন। ইতিহাসের এই ঘৃণ্যতম ঘটনাটা বাঙালীর জন্য বেশ পীড়াদায়ক। এই শোকাবহ আগস্ট সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মতামত নিয়েছেন চট্টগ্রাম সময়ের প্রতিবেদক আজহার মাহমুদ

আগস্ট মানে চোখের কোণে জল

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারানোর মাস শোকাবহ আগস্ট। আগস্ট মানে চোখের কোণে জল। বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ছিলেন অবিসংবাদিত নেতা,ইতিহাসের মহানায়ক। যার জন্ম না হলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না। যিনি ছিলেন রাজনীতির রাজপুত্র, এশিয়া মহাদেশের রাজনীতিবিদদের আদর্শ, বাঙ্গালি জাতির প্রাণপুরুষ। যার ডাকে সারা দিয়ে এই মাতৃভূমির আপামর জনসাধারণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে ৩০ লক্ষ শহীদদের রক্তের বিনিময়ে শত্রুদের পরাজিত করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে। কিন্তু দুঃখের বিষয় ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট একদল ঘাতক সেনা কর্মকর্তা জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে। ভাগ্য ভালো যে, ঐ বর্বরোচিত হামলার সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহেনা জার্মানিতে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যায়। বঙ্গবন্ধুকে মীরজাফররা স্বাধীনতার সুখ বেশিদিন ভোগ করতে দেয়নি, তার লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। তার মনের মত এদেশকে গড়তে পারেনি। বঙ্গবন্ধু আরো বেশ কিছু বছর বেঁচে থাকলে এই সোনার বাংলাদেশ আরো বহুদূর এগিয়ে যেত। জঙ্গিবাদ,সন্ত্রাসবাদ দুর্নীতিবাজ,রাজাকার,আলবদর,আলশামসের ঠাই এই বাংলার মাটিতে হতো না। তিনি এই দেশকে বহু আগে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারত। শোকের এই মাসে জাতির পিতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি ও ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মৃত্যুবরণকারী সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নত দেশে উন্নীত হোক এ কামনা করি।

মাঈন উদ্দীন রুবেল
প্রাক্তন এমবিএ শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ

বঙ্গবন্ধু হত্যা, একটি স্বপ্নের অকাল মৃত্যু

বিশ্ব-মানচিত্রে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ইতিহাস আসলেই যে নামটি চলে আসবে তিনি হলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি শুধু স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেই যাননি, তিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন, রাজনীতি শিখেছেন, সাধারণ মানুষের পাশে গিয়ে ইচ্ছা-আকাংক্ষা -চাহিদা অনুধাবন করেছেন, তারপর দায়িত্ব নিয়েছেন। এক কথায় এক লাফে তিনি খোকা হতে বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেননি। শত সংগ্রাম রয়েছে এই মহান মানুষটির। তিনি ধাপে ধাপে তৃণমূল হতে প্রতিটি পথ অতিক্রম করে পরিপক্ক হয়েছেন। পশ্চিম পাকিস্তানীদের শাসন ও শোষণ নির্যাতন হতে মুক্তি পেতে তিনি এগিয়েছেন কৌশলি হয়ে। তাঁর সম্মোহনী নেতৃত্বে সাধারণ মানুষ তাঁর ডাকে সাঁড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করেন। ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে বিজয় অর্জন করে স্বাধীন বাংলাদেশে রাষ্ট্র প্রতিষ্টা করেন। এই বিজয় অর্জনে সবচেয়ে সহায়ক ভূমিকা রাখেন তাঁর সম্মোহনী নেতৃত্বের গুণে। স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্রটি যখন সুন্দর করে সাজানোর জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন, তেমনি সময় হঠাৎ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের কালরাতে কিছু বেঈমান,রাষ্ট্রদ্রোহী ঘাতকের হাতে নিহত হন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সপরিবার। ইতিহাসের অন্ধকারতম এই অধ্যায়ে অকাল মৃত্যু হয় একটি স্বপ্নের,এগিয়ে যাওয়ার স্থলে, পিছিয়ে পড়ে স্বপ্নের রাষ্ট্রটি।

গাজী মো. আরাফাত হোসেন
শিক্ষার্থী, স্নাতক ৩য় বর্ষ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম কলেজ

আগষ্ট হলো বাঙালী জাতির জন্য কালো অধ্যায়

আগষ্ট মাস হলো আমাদের জন্য খুবই কলঙ্কময় একটি মাস।এই মাসেই বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও বাঙালি জাতির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দুই কন্যা ব্যতীত তার পুরো পরিবার সহ কিছু দেশদ্রোহী তাঁর নিজ বাড়িতে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করে। আসলে এই অধ্যায়টি আমাদের অকৃতজ্ঞ জাতিতে পরিণত করেছে।কেননা যে মুজিব না হলে বাঙালি জাতি পাকিস্তানিদের সকল অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহস করতো না। তাছাড়া যে মুজিবের ৬৬ সালের ৬ দফা এবং ৭ ই মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে সেই মুজিবকেই এদেশের কিছু দেশবিরোধী মানুষ হত্যা করেছে। তবে আশার বানী হচ্ছে ইতিমধ্যে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তদারকিতে বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত কয়েকজনের শাস্তি হয়েছে এবং বাকি চিহ্নিতদের শাস্তির প্রচেষ্টা চালমান রয়েছে।যা আমাদের এই জাতীয় অপরাধবোধ থেকে মুক্তির দিকে ধাবিত করছে।

মোঃ রাকিব
শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, সরকারি সিটি কলেজ চট্টগ্রাম।

তিনি ইতিহাসে চিরঅম্লান

পাকিস্তানের শোষকদের হাত থেকে মুক্তি পেতে যে বিশাল সংগ্রাম বাঙালি করেছে তা অনুভব করলেই যার নাম সবার আগে ভেসে ওঠে তিনি শেখ মুজিব। স্বাধীনতার মহানায়ক। আমরা এমন একজন মানুষকে নেতা হিসেবে পেয়েছিলাম যার বজ্রকণ্ঠী প্রতিবাদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি শত ষড়যন্ত্র, অপচেষ্টা ও শোষণের দেয়াল। শুধু স্বাধীনতা অর্জনই নয়, যখন সদ্য স্বাধীন দেশের চারিদিকে যখন ধ্বংসস্তূপ, পাকিস্তানী বাহিনীর নৃশংসতার ছাপ; যখন কোন দক্ষ প্রশাসন বা রাষ্ট্রীয় কোষাগার ছিলো না, তখন পাহাড়সম বাধা সামনে নিয়ে বঙ্গবন্ধু করেছেন নয়া সংগ্রাম। আমাদেরকে দিয়েছেন আত্মপরিচয়। বাঙালির নিজেকে জয়ের প্রতিটি স্তরে যিনি পথ দেখিয়েছেন পাঞ্জেরি হয়ে।

প্রতিবছর ১৫ আগস্ট আমাদের ১৯৭৫ সালের সেই কলঙ্কময় স্মৃতির দিন মনে করিয়ে দেয়। যেদিন কিছু বিপথগামী মানুষের বর্বরতার শিকার হন বাঙালি জাতির পিতা। এই দিনেই নৃশংসভাবে তাকে এবং তার পরিবারকে হত্যা করা হয়। সেদিন একদল ঘাতকের হাতে সৃষ্টি হয়েছিলো বাঙালির ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়।

বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন, দিয়েছেন নিজেদের অধিকার আদায়ের শিক্ষা। তার দৃপ্ত পদক্ষেপ আর এই বাংলার মাটিতে পড়বে না এটা সত্য, কিন্তু কোটি বাঙালির হৃদয়ে তিনি যে আলোক শিখা জ্বালিয়ে দিয়ে গিয়েছেন তার মাঝেই তিনি বেঁচে থাকবেন চিরকাল।

বিপ্লব হোসেন
শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, যশোর সরকারি সিটি কলেজ, যশোর।

বিশ্বাসঘাতক ম্যাকবেথরা আর একটি অভিশপ্ত জাতি

‘তোমরা ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলো’ বলা মানুষ টা যিনি সাত কোটি বাঙ্গালীকে নিজের সহোদর ভাই বোন বা সন্তান সম ভেবেছিলেন তিনি কি জানতেন এদের মধ্যেই কতিপয় মানুষরুপী সর্প তার প্রাণের হন্তারক হবে,শুধু তাই নয় পাঁচ বছরের রাসেল কে হত্যা করে শিশু হত্যার মতো জঘন্য অপরাধে নিজেদের হাত রঞ্জিত করবে। মানব চরিত্রে বেঈমানী কোন নব বৈশিষ্ট্য নয়। ক্ষমতার লোভে পৃথিবীর ইতিহাসে ম্যাকবেথদের এর নজির কিছু কম নেই। কিন্তু এতো নৃশংস হত্যাকান্ডের কল্পনা বোধ হয় শেক্সপিয়ার ও কল্পনা করতে পারতেন না। বঙ্গবন্ধুর ও তাঁর পরিবারের খুনীদের হাত এতোটাই খুনের রক্তে দূষিত যে খোদ আরবের আতর ও সেই দূষিত গন্ধ দূর করতে পারবে না। ৭ মার্চ বা ১৬ ই ডিসেম্বর এর অর্জন যদি চাঁদ হয় তবে মনে রাখা উচিত বাঙালি জাতির কাছে ১৫ই আগস্ট হলো কলংক যা জাতির অর্জনের সৌন্দর্যকে অনেকাংশে খর্ব করে।

জাবিন তাসনীম খান
শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, স্নাতকোত্তর, রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ।

আগস্ট আমাদের বেদনা আর আবেগের সর্বোচ্চ জায়গা

বেদনাদায়ক হত্যাকান্ড ১৫ আগস্ট পৃথিবীর ইতিহাসে এক নির্মম দিন হিসেবে পরিচিত। মূলত ১৯৭১ সালের প্রতিশোধ আর স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পথচলা থামিয়ে দেওয়ার জন্য জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করেছিলো।শুধু তাই নয় তার বংশ পরমপরার কেউ যেনো বেঁচে না থাকে সেই শেখ পরিবারকে স্বপরিবারে হত্যাও করে ছিলো।তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু দিয়ে গেছেন অনেক কিছু।রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তাঁর এই দূরদর্শিতার কারণেই বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোর ভিত্তি তাঁর হাত দিয়েই তৈরি। বাংলাদেশের এমন কোনও ক্ষেত্র নেই যেখানে তার অবদান নেই। বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম আর মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে বাংলাদেশ কল্পনা করা যায় না।আজকের এই দিন একদিকে যেমন বেদনা আর শোকের , তেমনি অন্যদিকে এটি আমাদের আদর্শকে বলীয়ান আর চেতনাকে জাগ্রত করারও একটি দিন।

তারেক আল মুনতাছির
ওমরগণি এমইএস কলেজ, চট্টগ্রাম।

আগষ্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার আজো অপূর্ণ

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দিন, যা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের হত্যার স্মরণে পালন করা হয়। তবে অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে মানুষটার মাধ্যমে আমারা পেয়েছি এক স্বাধীন পতাকা সেই মানুষটির হত্যার খুনিরা আজো শাস্তি বিহীন দেশে বিদেশে ঘুরছে স্বাধীন ভাবে। প্রতিবার ঘুরে ফিরে এই দিন আসলেই আমাদের মনে পড়ে সেই কালোরাতে কথা। যার ফলে আমরা তৎপর হই, ঐ খুনিদেরকে দেশে আনার। অন্য সময় ভুলে বসে। তাই অতিবিলম্বে হলেও মহন নেতার খুনিদের বিচার ও মুক্তিযোদ্ধে শহীদের এবং শেখ পরিবারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

সফিউল ইসলাম
ফেনী সরকারি কলেজ।

শোক কে শক্তি করেই এগিয়ে যেতে হবে

১৫ আগস্ট মানব সভ্যতার ইতিহাসে নৃশংসতম দিন। যার নেতৃত্ব আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ । যিনি ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, বৈষম্যহীন উন্নত সমৃদ্ধ, নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে আজীবন কাজ করেছেন বাঙালির জন্য। তিনি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যার সাম্রাজ্যবিরোধী মনোভাব, অসাম্প্রদায়িক চেতনা দেশ প্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত ইতিহাসে বিরল । সেই মহামানব ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রতিক্রিয়াশীল উচ্চাভিলাসী ঘাতকচক্রের হাতে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বিশ্বের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা, বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ, বাঙালির নিরন্তন প্রেরণার চিরন্তন উৎস, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ও তাঁর পরিবার ১৬ সদস্য কে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় । যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবাদর্শে দীক্ষিত করা । স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে সংসদ সহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়।

বঙ্গবন্ধুর মহান আদর্শে আমাদের অনুপ্রাণিত হয়ে একটি উন্নত সমৃদ্ধ, নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করতে হবে । প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবাহমান থাকুক । আসুক বাঙালির সামাজিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক মুক্তি ও মানবিক মর্যাদা , তবে মহান নেতার ত্যাগ স্বার্থকতা পাবে ।।

আল আমিন
শিক্ষার্থী, স্নাতক, বাংলা বিভাগ, মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ, পঞ্চগড় ।

মানবতাবাদী নেতার সারিতে বঙ্গবন্ধুর নাম অন্যতম

বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের সৃষ্টির জন্য যে মহানায়কের অবদান অসামান্য,তিনি হলেন বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।মানবতাবাদী ও অবিসংবাদিত মহান এ নেতা আজীবন কাজ করে গেছেন মানুষের কল্যাণের জন্য। আদর্শবাদী রাজনৈতিক এ নেতার রাজনীতির ধরণ ছিল অসম্ভব সুন্দর।রাজনীতির সারাটি জীবন তিনি নৈতিকতার মধ্য দিয়ে পার করেছেন।দল-বল নির্বিশেষে তিনি মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে গিয়েছেন।মানব সেবার অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয়ে,নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে নিজ পরিবারকে ছেড়ে কারাবরণ করেছেন তিনি।গণমুখী ও কল্যাণকামী মানুষদের সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে চলেছেন মানবতার এ মহানায়ক। নিজের জীবন তুচ্ছ করে পরাস্ত করেছেন তার সামনে আসা সকল অপশক্তিকে। মানবতার জন্য জয় করেছেন বিশ্ব।অর্জন করেছেন মানুষের অকৃত্রিম ভালবাসা। বিশ্বের সকল কিংবদন্তি ও মানবতাবাদী নেতাদের নামের সারিতে বঙ্গবন্ধুর নাম অন্যতম উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

এস আর শাহিন
শিক্ষার্থী, কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজ।

মুজিব মোদের মননে

দিন ঘুরিয়ে মাস আর মাস ঘুরিয়ে বছর, এভাবেই ফিরে আসে ১৫ ই আগস্ট। ঠিক এই দিনে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল ঘাতকবাহিনী। শুধু দেশরত্ন মুজিবকে মেরেই শেষ করেনি তাদের মিশন। খুন করেছিল ছোট্ট সোনামনি রাসেলসহ পরিবারের সকল সদস্যকে। যা ইতিহাসের কালো পাতায় চির স্বরণীয়। আজও মুজিব আছে ইতিহাসের পাতায়, কবিতায়, গানে কিংবা স্মৃতির পাতায়। এভাবেই রয়ে যাবে মানুষের মননে।

 

মোঃ মনিরুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, সরকারি আকবর আলী কলেজ, উল্লাপাড়া সিরাজগঞ্জ।

 

চস/আজহার

 

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss