spot_img

২৫শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার
১০ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

পহেলা জুন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন

১২ জুন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণার প্রতিবাদ করে ১ জুন থেকে খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ ২৭ মে, বৃহস্পতিবার নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে ১২ জুন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের শিক্ষামন্ত্রীর এমন ঘোষণা ছাত্র সমাজ মানে না জানিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থী পরিষদের আহ্বায়ক সিটি কলেজের শিক্ষার্থী মিজান মাহিন বলেন, কলকারখানা, দোকানপাট সব খোলা, স্বাস্থ্যঝুঁকির দোহাই দিয়ে শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ বারবার পেছানো হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্ত ছাত্রসমাজ মানে না। ছাত্রসমাজের দাবি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ লো জুন খুলে দেওয়া হোক।

তিনি আরও বলেন, আজ সরকার গার্মেন্টস শ্রমিক ও গণপরিবহণ শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করছে, কিন্তু যারা দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে, সেই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি।

তিনি আরও বলেন, সরকার মাধ্যমিক স্কুলের সব শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরির যে পদক্ষেপ নিয়েছে দুইদিনের মাথায় তা স্থগিত করেছে। কারিগরি জটিলতার কারণে যেখানে সরকার সামান্য ইউনিক আইডি তৈরির প্রকল্প স্থগিত করেছে, সেখানে অনার্সসহ উচ্চ শিক্ষা অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে যথাযথ শিক্ষা কিভাবে নিশ্চিত করবে।

সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী উম্মে হাবীবা তার বক্তব্যে বলেন, আজকে কয়জন শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের সুবিধা ভোগ করছে? সরকার এসাইনমেন্টের মাধ্যমে মেধা যাচাই করে পরবর্তী ক্লসে প্রমোশন দিচ্ছে। আমাদের যাদের ছোট ভাই-বোন আছে, আমরা দেখেছি শিক্ষার্থীরা এসব এসাইনমেন্ট হয় বই থেকে কপি করছে অথবা অনলাইন থেকে কপি করে লিখছে। এই যে কপি করার মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নৈতিক মূল্যবোধ হারাচ্ছে, এর দায়ভার কে নিবে? তাই আমরা দাবি জানাই অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হোক।

সমাবেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি অয়ন সেন বলেন, ইউনেস্কোর ইডুকেশন ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী সরকার বাজেটের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ শিক্ষাখাতে ব্যয় করার কথা থাকলেও ২০২০-২১ অর্থবছরে এ খাতে বাংলাদেশ সরকারের ব্যয় ছিলো ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ থেকে বোঝা যায় সরকার শিক্ষা নিয়ে কতটা উদাসীন।

এসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ইমন সৈয়দ, ধ্রুব, কানুন, নরেশ, সিহাব। আরো বক্তব্য রাখেন মহসিন কলেজের শিক্ষার্থী রাফসান, চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী মিরাজ, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি সাইফুর।

বিক্ষোভ সমাবেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যলয়ের অধীন বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা মিছিল নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss