গত ১৭ আগস্ট থেকে সারা দেশে এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক বা এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আলিম ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডর এইচএসসি ভোকেশনাল, বিএম-বিএমটি ও ডিপ্লোমা ইন কমার্স এবং চট্টগ্রাম বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই তিনটি বোর্ডের পরীক্ষা আজ রবিবার (২৭ আগস্ট) থেকে শুরু হয়েছে।
তবে অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চট্টগ্রামে এইচএসসি ও সমমানের প্রথম দিনের পরীক্ষা এক ঘণ্টা পিছিয়ে শুরু করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছে, শনিবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাতের অতিবৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম শহরে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সেকারণে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে সিটি করপোরেশন এলাকার ২৭টি পরীক্ষা কেন্দ্র ও হাটহাজারী ও ফতেয়াবাদ কলেজ কেন্দ্রে, পরীক্ষা এক ঘণ্টা বিলম্বে শুরু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও যেসব কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছে সেগুলোতেও একইরকম নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বিলম্ব হলেও, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ নিশ্চিত করার জন্যে কেন্দ্র প্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রামে রাতভর বৃষ্টিতে ভোর থেকে ডুবে গেছে নগরী ও জেলার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়ক; যেগুলো দিয়ে যানচলাচলও কষ্ট কর হয়ে পড়েছে। ফলে সকাল থেকে কর্মস্থলমুখী চাকরিজীবীদের পাশাপাশি এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বৃষ্টিতে নগরীর বাকলিয়া, মুরাপুর, ষোলশহর দুই নম্বর গেট, চকবাজার, আগ্রাবাদ, সিডিএ আবাসিক, ইপিজেড, বহদ্দারহাট ও চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমেছে। এ কারণে সড়কে যানসহ সাধারণ মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, ‘বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর ২৭টি কেন্দ্রে এক ঘণ্টা পিছিয়ে শুরু হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা। মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে ফতেয়াবাদ ডিগ্রি কলেজে বেলা ১১টা পর্যন্ত ২৭ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিতির কথা জানিয়েছে কলেজ কেন্দ্র থেকে। এ কারণে ওই কেন্দ্রে আরও আধা ঘণ্টা বিলম্বে পরীক্ষা শুরুর নির্দেশনা দেওয়া হয়।’
মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরেও সকল কেন্দ্রের সঙ্গে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের যোগাযোগ অব্যাহত আছে।
চস/আজহার