spot_img

২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার
১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অনলাইন ডেস্ক

সর্বশেষ

চট্টগ্রামে গাড়ির ৪১৪ কার্টন নকল যন্ত্রাংশ জব্দ

চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট এলাকা থেকে ৪১৪ কার্টন নকল গাড়ির যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার (৪ জুন) আমদানিকারক হোসাইন মোটর্সের ব্যবস্থাপক মো. ফেরদৌস বাদী হয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

এই জিডিমূলে পুলিশ মালামালগুলো জব্দ করে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) আদালতে সোপর্দ করেছে।

জিডিতে জাপানি ব্র্যান্ড নকল করার মূলহোতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে মো. সাইদুল আলম নামের এক ব্যক্তিকে। পাশাপাশি তার সহযোগী হিসেবে মো. শাহনেওয়াজ ও জমির উদ্দিন নামে আরও দুজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, হোসাইন মোটর্স দীর্ঘদিন ধরে জাপানের একটি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত কার ও মাইক্রোবাসের ব্রেক প্যাডের একমাত্র পরিবেশক হিসেবে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি জাপান থেকে ব্রেক প্যাড আমদানি করে দেশে বাজারজাত করে। গত ২৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মো. ফেরদৌস খবর পান, দেওয়ানহাটের ন্যাশনাল কর্পোরেশন নামে একটি দোকানে তাদের ব্র্যান্ডের নাম, লোগো, স্টিকার, মোড়ক হুবহু নকল করে তৈরি করা পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি গত ২৪ এপ্রিল ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকানটিতে নকল যন্ত্রাংশ দেখতে পান।

পরে হোসাইন মোটর্সের মালিক মো. হাসানুজ্জামানও দোকানে গিয়ে উপস্থিত হন। এসময় দোকানটির মালিক স্বীকার করেন, তারা নকল পণ্য বিক্রি করছিলেন। ভবিষ্যতে এমন কাজ আর করবেন না-এই মর্মে লিখিত ও মৌখিক অঙ্গীকার দেন এবং মজুত থাকা ৪১৪ কার্টুন নকল ব্রেক প্যাড হোসাইন মোটর্সের কাছে হস্তান্তর করেন।

হোসাইন মোটর্সের ব্যবস্থাপক মো. ফেরদৌস বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে কার ও মাইক্রোবাসের ব্রেক প্যাড আমদানি করে বাজারে সরবরাহ করে আসছি। কয়েকদিন আগে থেকে ক্রেতারা আমাদের কাছে অভিযোগ করছেন আমাদের চেয়ে কম দামে একই ধরনের পণ্য বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে গত ২৪ এপ্রিল আমরা দেওয়ানহাটের ন্যাশনাল কর্পোরেশনে গিয়ে এর সত্যতা পাই। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা মালামালগুলো জব্দ করে। কিন্তু ওইদিন ব্যবসায়ী নেতারাসহ বৈঠক করে তারা আমাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। পরে তারা মুচলেকা দিলে আমরা ওইদিন আর মামলা করিনি।

তিনি আরও বলেন, মালামালগুলো আমরা ধ্বংস করতে অপেক্ষা করছিলাম এমন সময় উল্টো তারা আমাদের হুমকি দিতে থাকে। শেষমেষ বুধবার আমরা মালামালগুলো থানায় জমা দিয়ে দিই এবং আইনগত ব্যবস্থা নিই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে মো. সাইদুল আলমকে বুধবার রাতে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। বৃহস্পতিবার সকালে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. রফিক আহমেদ বলেন, আরেকজনের প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড নকল করে বাজারজাত করার অভিযোগে গাড়ির যন্ত্রাংশ জব্দ করে জিডিমূলে আদালতে সোপর্দ করেছি। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা তদন্ত পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেব। সূত্র: ঢাকা পোস্ট

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss