spot_img

১২ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার
২৮শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ডেস্ক রিপোর্ট

সর্বশেষ

স্ট্রোকমুক্ত চট্টগ্রাম গড়তে প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগ: ডা. শাহাদাত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘আমরা অনেক সময় স্ট্রোকের প্রাথমিক লক্ষণগুলোকে অবহেলা করি। এ কারণে অনেকের জীবন হুমকিতে পড়ে। অথচ স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নিতে পারলে জীবন বাঁচানো সম্ভব। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে স্ট্রোক প্রতিরোধ ও রিহ্যাবিলিটেশন বিষয়ে চমেকের নিউরোসার্জারি বিভাগের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। আমাদের লক্ষ্য ‘স্ট্রোকমুক্ত চট্টগ্রাম’ গড়া। এজন্য সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।’

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে দুইদিন ব্যাপী নানা কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্ট্রোক প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও দ্রুত চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উপলক্ষে হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগ দুই দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। গতকাল সকালে সাইকেল র‌্যালির মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

অনুষ্ঠানে ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, আমরা অনেক সময় কথা জড়ানো, শরীরের একপাশ অবশ হয়ে যাওয়া বা দৃষ্টিতে ঝাপসা দেখার মতো স্ট্রোকের প্রাথমিক লক্ষণগুলো অবহেলা করি। অথচ এই মুহূর্তগুলোই রোগীর জন্য ‘গোল্ডেন আওয়ার’। তাই এসব বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। এক্ষেত্রে দুইদিনের কর্মসূচি বড় ভ‚মিকা রাখবে বলে বিশ্বাস আমার।

চমেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দেশে প্রতিবছর প্রায় তিনলাখ মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন, যার অর্ধেকেরও বেশি সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ায় মৃত্যুবরণ করেন।’

সভাপতির বক্তব্যে নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. সাইফুল আলম বলেন, ‘স্ট্রোকের ৮০ শতাংশই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত রক্তচাপ ও রক্তে শর্করা পরীক্ষা করা, ধূমপান বন্ধ করা, লবণ ও তেল কম খাওয়া এবং দৈনিক অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস গড়ে তোলার মতো পরিবর্তনগুলোই জীবন বাঁচাতে পারে।’

সহকারী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘স্ট্রোক প্রতিরোধ মানেই জীবন বাঁচানো। আজকের কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো সাধারণ মানুষকে বোঝানো যে স্ট্রোক হঠাৎ ঘটে, কিন্তু এর ঝুঁকি প্রতিদিন তৈরি হয়। নিউরোসার্জারি বিভাগ শুধু চিকিৎসা নয়, প্রতিরোধমূলক কাজেও ভূমিকা রাখতে চায়।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন, উপাধক্ষ্য অধ্যাপক ডা. আব্দুর রব, নিউরোসার্জারি বিভাগের ইউনিট প্রধান অধ্যাপক ডা. সানাউল্লাহ শামীম, সহযোগী অধ্যপাক ডা. মাহফুজুল কাদের, ডা. ওমর ফারুক, ডা. সিরাজুল মুনির অহি প্রমুখ। আজ দ্বিতীয়দিন কলেজ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র: সমকাল

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss