লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মা-বাবার হাত-পা বেঁধে তাদের সামনেই এক কিশোরীকে (১৪) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে রামগতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্থানীয়রা। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আজ সোমবার সকালে মিরাজ (২৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মিরাজ একই গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরীর এরই মধ্যে বিয়েও হয়েছে। তবে সে তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিল।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, প্রতিদিনের মতো তারা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে একদল অজ্ঞাত লোক ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে মা-বাবসহ পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে মা-বাবার সামনেই পালাক্রমে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে তারা। এমনকি ধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে পিটিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়া হয়েছে। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার সময় ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। পরে তাদের ডাক-চিৎকার শুনে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান বলেন, এ ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে মিরাজ নামে এক যুবককে আটক করা হয়ছে। এ ঘটনায় ভিকটিম পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
চস/এএম