সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত ষষ্ঠ ধাপের প্রথম দিনের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারিক কাজ শুরু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
এর আগে ১০, ১১, ১২ অক্টোবর মামলার পঞ্চম দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এনিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে এই মামলার প্রথম, থেকে পঞ্চম দফা সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে। মামলার পঞ্চম ধাপের প্রথমদিন রোববার (১০ অক্টোবর) সাক্ষী বেবি বেগমের চতুর্থ ধাপে বাকি থাকা জেরা দিয়ে পঞ্চম ধাপের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
ওইদিন সাক্ষ্য দিয়েছেন এক সেনা কর্মকর্তা ও পাঁচ সেনা সদস্য-লে. মুনতাসির আরেফিন, সার্জেন্ট মোক্তার হোসেন, ল্যান্স করপোরাল রুহুল আমিন, সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার সৈয়দ মইন, আবু জাফর ও করপোরাল নুর মোহাম্মদ। ঘটনার সময় তারা সিনহার মরদেহ শনাক্ত করেন এবং টেকনাফের বাহারছড়া সেনা ক্যাম্পে নিয়োজিত ছিলেন।
পঞ্চম দফার শেষ দিনে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। তারা হলেন- সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল ইমরান, এসআই সোহেল সিকদার, এএসআই নজরুল ও কনস্টেবল শুভ পাল।
পিপি ফরিদুল আলম জানান, এই মামলার ৫৯ জন সাক্ষীকে সাক্ষীগ্রহণের জন্য আদালত সমন জারি করেছেন। তাদের কাছ থেকে সাক্ষীগ্রহণ অবশ্যই নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মেরিনড্রাইভ চেক পোস্টে গুলি করে হত্যা করা হয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে। এ ঘটনায় সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ৫ আগস্ট ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৯ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। পরে আদালত এ মামলার তদন্ত ভার দেয় র্যাবকে।
চস/স