কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আসা অসুস্থ ও মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে ১৮ ব্যবসায়ীকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার এ নোটিশ দেয় চকরিয়া পৌরসভা।
জানা যায়, গত ছয় মাস ধরে মিয়ানমার থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, আলীকদম ও লামা হয়ে চোরাই পথে গরু ও মহিষের চালান আসে। এসব চালান আসার পথে অসংখ্য গরু ও মহিষ অসুস্থ হয় এবং আবার পথে অনেক গরু মারাও যায়।
অভিযোগ উঠেছে, পাচারকারী চক্রের লোকজন পথে মারা যাওয়া বা অসুস্থ হয়ে পড়া এসব গরু পাহাড়ের ভেতরে জবাই করেন। পরে রাতের বেলায় জবাই করা এসব গরুর মাংস বিক্রেতাদের সিন্ডিকেট চকরিয়া বাজারে নিয়ে আসে। এরপর চকরিয়া পৌরসভার সোসাইটি কাঁচাবাজার ও বিভিন্ন হাটবাজারে দেশীয় গরুর মাংস হিসেবে বিক্রি করে চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
পৌর সচিব মাসউদ মোর্শেদ বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে চকরিয়া পৌরসভা কার্যালয়ে মেয়র আলমগীর চৌধুরী মাংস বিক্রেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে অনেকের বিরুদ্ধে মিয়ানমার থেকে অসুস্থ ও মরা গরুর মাংস এনে বিক্রি করার সত্যতা পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, সভা সিদ্ধান্ত হয়েছে এখন থেকে চকরিয়া পৌরসভার সোসাইটি কাঁচাবাজার ও পৌরসভার অধীন বিভিন্ন বাজারে গরু জবাই করার আগে পৌরসভার স্যানেটারি পরিদর্শক উপস্থিত থাকবেন। স্যনেটারি পরিদর্শক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সিল দিলেই গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করা যাবে। যদি কেউ মৃত গরুর মাংস বিক্রি করছে প্রমাণ পাওয়া যায় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পৌর সচিব আরও বলেন, ‘চকরিয়ায় মাংস বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ওজনে কারচুপির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এখন থেকে কেউ মাংস বিক্রিতে ওজনে কম দিলে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং কেউ বাসী মাংস করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। পাশাপাশি মাংস জব্দ করা হবে।’
চস/আজহার