spot_img

২৩শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার
৮ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

যেখানে জায়গা আছে সেখানেই গাছ লাগাতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এখন জুন-জুলাই মাস গাছ লাগানোর উপযোগী সময়, প্রত্যেকে তিনটি করে গাছ লাগাবেন। যেখানে জায়গা আছে সেখানেই গাছ লাগাতে হবে। আর কেউ যাতে অকারণে গাছ না কাটে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে একটি করে ফলজ, বনজ ঔষধি গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

শুক্রবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের আয়োজনে বন অধিদপ্তরের টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের উপকারভোগী এবং বন্যহাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বনবিভাগ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সহব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বন রক্ষার উদ্যোগ নেন। সহব্যবস্থাপনায় বনসম্পদ বৃদ্ধির পর সেই টাকার লভ্যাংশ স্থানীয় যারা সহব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের মাঝে ভাগ করে দেওয়ার এই পদ্ধতি চালু করেছে সরকার। এসব আগে ছিল না, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এসব চালু করেছেন।

তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আমাকে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তীতে পাঁচ বছর বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম। মূলত এই কার্যক্রমগুলো তখনই শুরু করা হয়। যখন আমরা প্রথমবার সরকার গঠন করি তখন হাতি দ্বারা আহত ও নিহতদের সহায়তা করার এই পদ্ধতি প্রথম চালু করি। বন সহব্যবস্থাপনা কমিটিও তখন বিস্তৃত করা হয়, আগে ছিল খুব সীমিত আকারে। আজকে তার সুফল আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ পাচ্ছে সেটা জেনে আমারও খুব খুশি লাগছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে ৩৭৭ জন বনবিভাগের উপকারভোগীদের কাছে ২৫ হাজার ২০০ টাকা করে ৯৫ লাখ টাকারও বেশি টাকার চেক হস্তান্তর করা হচ্ছে। সরকারের বনবিভাগের পক্ষ থেকে বনব্যবস্থাপনার আওতায় এই টাকাটা হস্তান্তর করা হচ্ছে। গাছ লাগালেও যে সেটি টাকায় রূপান্তরিত হয় তার প্রমাণ হলো এটি। এসব আগে ছিল না।

তিনি বলেন, আমরা পাহাড়ের মানুষ, আমরা বন রক্ষা করি বলেই সরকারের এসব সুবিধা পাচ্ছি। রাঙ্গুনিয়ার আরও সাড়ে চারশ মানুষ এই সুবিধা পাবে। সুতরাং সবাইকে অনুরোধ জানাবো এই জুল-জুলাই মাসে সবাই যতটুকু সম্ভব গাছ লাগাবেন। আর কেউ যেন বনের সম্পদ নষ্ট না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ-আল-মামুনের সভাপতিত্বে ও বনরেঞ্জ কর্মকর্তা নাহিদ হাসান ও আশরাফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গণি ওসমানী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বন্য হাতির দ্বারা নিহত একটি পরিবারকে নগদ তিন লাখ টাকা, বন্য হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ২৭ জনকে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং সুফল প্রকল্পের এফসিভির সদস্য ৩৭৭ জনকে মোট ৯৫ লাখ ৪০০ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss