spot_img

২৭শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, রবিবার
১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

চট্টগ্রামে ছুটির আগে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার হিড়িক

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি ঘোষিত ছুটি শুরুর আগে চট্টগ্রামে ব্যাংকগুলোর শাখায় ভিড় করছেন গ্রাহকরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যাংকে দেখা গেছে গ্রাহকদের ব্যাপক চাপ। কোথাও কোথাও গ্রাহকদের লাইন ব্যাংকের বাইরেও চলে আসে।

সরকার আগামী ২৯ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের ছুটি এবং সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা ১০ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকুরেরা। তবে সাধারণ ছুটিতে ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে। সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সকল ব্যাংকের লেনদেন কার্যক্রম চলবে। আর ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।

চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের টাকা তোলার হার বেড়েছে। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় মঙ্গলবার গ্রাহকদের টাকা তোলার চাপটা বেশি দেখা গেছে।

আরো পড়ুন: শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাচ্ছেন খালেদা জিয়া

অগ্রণী ব্যাংক, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব শাখায় টাকা তুলতে যাওয়া আমিনুল ইসলাম নামের একজন জানান, টানা ছুটিতে ব্যাংকও বন্ধ থাকার শঙ্কায় টাকা তুলছেন তিনি। তিনি বলেন, “যেভাবে সংক্রমণ শুরু হয়েছে। তাতে কী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তা বোঝা যাচ্ছে না। ওই কারণে বাসায় নগদ কিছু টাকা হাতে রাখতেই উত্তোলন করছি।”

বেসরকারি ইউসিবিএল ব্যাংকের এনায়েত বাজার শাখায় টাকা উত্তোলন করতে যাওয়া এক ব্যক্তি বলেন, এক লাখ টাকা পর্যন্ত এটিএম বুথ থেকে উত্তোলনের জন্য ব্যাংক থেকে বলা হয়েছে। কিন্তু বেশি টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে আসতে হয়েছে। পেশায় ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তি বলেন, “বিভিন্ন জনের কাছে দেনা-পাওনা রয়েছে। পাওনাদাররা টাকা পরিশোধে চাপ দিচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে সবার মধ্যে ভীতি থাকায় হাতে টাকা রাখছে। নিজের হাতে রাখতে এবং পাওনা পরিশোধের জন্য টাকা উত্তোলন করছি।”

অগ্রণী ব্যাংক কর্নেল হাট শাখার ব্যবস্থাপক ও এসপিও মো. মহিনুজ্জামান চৌধুরী জানান, কয়েকদিন ধরে গ্রাহকদের টাকা তোলার চাপ ছিল। তবে মঙ্গলবার একটু বেড়েছে। “অনেক মানুষের ধারণা সরকার ঘোষিত এ ছুটিতে ব্যাংকও বন্ধ থাকবে। তাই সেই আতঙ্কে অনেকে টাকা তুলে হাতে রেখে দিচ্ছে।”

ইবিএল ও ইউসিবিএল ব্যাংকের একাধিক শাখা ব্যবস্থাপক জানান, গ্রাহকের সংখ্যা বেশি হলেও তারা ২০ হাজার থেকে এক লাখের মধ্যেই টাকা উত্তোলন করছেন। খুব স্বল্প সংখ্যক লোক বেশি পরিমাণে টাকা তুলছেন।

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss