রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত ইউপিডিএফের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) রাতেই লাশ উদ্ধার করে। বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে। তবে এখনও নিহতদের কোনও স্বজনদের খোঁজ-খবর পায়নি পুলিশ।
নানিয়ারচর পুলিশ জানায়, নিহত দু’জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে আনা রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হন্তান্তর করা হবে। যদি কেউ লাশ দাবি না করে, তাহলে বেওয়ারিশ হিসেবে দাহ ক্রিয়া করা হবে। একইসঙ্গে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এই ঘটনায় প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধের লক্ষ্যে ইউপিডিএফ যে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তা বানচাল করতেই আবারও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি কথিত গোলাগুলি বা বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করা ও পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় নানিয়ারচর উপজেলার সাবেক্ষ্যং ইউনিয়নের রউফ টিলায় সন্ত্রাসীদের একটি আস্তানায় অভিযান চালাতে যায় রাঙামাটি সদর জোনের ২০ বীরের সেনা সদস্যরা। এসময় সেনা টহলের ওপর গুলিবর্ষণ করা হলে সৈনিক শাহাবুদ্দিন (২৮) গুলিবিদ্ধ হয়। সেনাবাহিনী পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে হামলাকারীদের মধ্যে দু’জন নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-২২ অস্ত্র ও ৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
চস/আজহার