দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আরো ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ হাজার ৪৭৯ জনে। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩২ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ১০ হাজার ৮০ জনে।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৩৫৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৫৩ হাজার ৩১৮ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৬৭টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৪টি, জিন-এক্সপার্ট ২৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ২৯টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৩ হাজার ৩৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৬১৭টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩১ লাখ ৮৪ হাজার ৫২৭টি।
এতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার সাত দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৮৭ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৪ জনের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ ও নারী চার জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে সাত জন। এছাড়া খুলনা ও রংপুর বিভাগে এক জন করে দুই জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ২৭ জন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এক জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন রয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১০৯ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩৪১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৫ হাজার ৯৭০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৪ হাজার ৩৫৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ৬০৬ জন।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর দেশে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিন লাখ অতিক্রম করে গত ২৬ আগস্ট এবং মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়ে যায় ৪ নভেম্বর।
চস/আজহার