২০১৪-২০১৯ পর্যন্ত বাংলাদেশ দল ৬ বার আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে। তম্মধ্যে ৪টি ম্যাচে জিতেছে আফগানরা। বাংলাদেশ জিতেছে ২ ম্যাচে। ভারতের দেরাদুনে আফগানিস্তানের সাথে তিন ম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। টি২০ ক্রিকেটে আফগানদের চেয়ে পিছিয়ে থাকা বেশ স্পষ্ট।
জয়ে এগিয়ে থাকার পাশাপাশি দুই দলের মধ্যে সর্বাচ্চ সংগ্রহও আফগানিস্তানের। ২০১৮ সালে দেরাদুনে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান করেছিল আফগানরা। এছাড়াও আফগানদের ১৬৪/৬, ১৪৫/৬ রানের পর ৪র্থ সর্বোচ্চ ১৪৪/৬ রান সংগ্রহ বাংলাদেশের।
সর্বোচ্চ রানে আফগানিস্তানের দাপট থাকলেও সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডও আফগানদের। মিরপুরে ২০১৪ সালে দুই দলের মুখোমুখি হওয়া প্রথম ম্যাচে মাত্র ৭২ রানে অলআউট হয়েছিল আফগানরা। জবাবে বাংলাদেশ ৯ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছিল।
ব্যাটারদের মধ্যে ৬ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৩৮ রান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। ৬ ম্যাচে ২য় সর্বোচ্চ ১২৫ রান মোহাম্মদ নবীর। দুই দলের ব্যাটারদের মধ্যে সাকিব ৭০ ও নবী ৮৪ রানের ইনিংস খেলেছেন। আর কোন ব্যাটার পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলতে পারেননি। বোলারদের দাপটই ছিলো প্রতিটি ম্যাচে।
বোলারদের মধ্যে ৫ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১২ উইকেট শিকার করেছেন রশিদ খান। ৬ ম্যাচে ২য় সর্বোচ্চ ৮ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব আল হাসান। সেরা বোলিং ফিগার রশিদ খানের। ম্যাচে ১২ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট পেয়েছেন রশিদ। মুজিবুর রহমান ১৫ রানে ৪ উইকেট ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ৩৩ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন। ৮ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছিলেন সাকিব।
টি২০ পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে আফগানিস্তান। আজ বিকাল থেকে শুরু হওয়া দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানরা পরিসংখ্যানে এগিয়ে থেকেই খেলতে নামবে। বাংলাদেশ স্বাগতিক হলেও ফেভারিট নয় ম্যাচে। তবে পরিসংখ্যানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অভিজ্ঞ বাংলাদেশ দুই ম্যাচেই বাংলাদেশকে হারাবে, সে প্রত্যাশা থাকছেই।
চস/আজহার