যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নেওয়াটা অনেকে বাঁকা চোখে দেখেছিলেন। উল্টো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম দেখাতেই হেরে বিরাট এক বিস্ময় উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হেরে যাওয়ায় তুমুল সমালোচিত এখন সাকিব-শান্তরা।
প্রেইরি ভিউতে আজ যুক্তরাষ্ট্রের সামনে সিরিজ জয়ের হাতছানি, অন্যদিকে বাংলাদেশের সামনে সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ। হিউস্টনে রাত ৯টায় দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ এর আগে ২০ ওভারের ফরম্যাটে আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, স্কটল্যান্ড, এমনকি হংকংয়ের কাছেও হেরেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হার ছাড়িয়ে গেছে অতীতের সব রেকর্ড। কেননা র্যাংকিংয়ের এতো দূরে থাকা দলের বিপক্ষে এর আগে কখনো হারেনি বাংলাদেশ।
ম্যাচ হারের পরে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলছিলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা ভালো উইকেটে খেলছি না। জিম্বাবুয়ে সিরিজেও ভালো উইকেটে খেলিনি। আশা করি ব্যাটসম্যানরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। (প্রবাসী বাংলাদেশিরা) হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন, তার কারণ আমরা ভালো খেলিনি। সামনের ম্যাচে চেষ্টা করব যেন একটা ভালো খেলতে পারি।’
তবে শান্তর এমন মনোভাবের কারণে দেশ থেকে সমালোচনাও হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচ হারা নিয়ে বুধবার মিরপুরে দুর্জয় বলেন, ‘ঘরের মাঠে উইকেট ভালো না। এটি অজুহাত। পিচ যদি স্লো উইকেটও বানানো হয়, সেটি দলের চাওয়াতেই হয়। এখন তোমরা উইকেটের অজুহাত দাও বিদেশে গিয়ে। সবাই হোম কন্ডিশনের একটি সুবিধা নেয়, দলের চাওয়া থেকেই সেটি করা হয়। কোন উইকেট হলে দল পারফর্ম করবে, সে চাওয়াটা দল থেকেই আসে। কাজেই এখন উইকেটে দোহাই দিলে তো আমরা মানতে পারি না।’
জাতীয় দল অজুহাতের জায়গা না বলে দাবি সাবেক অধিনায়ক দুর্জয়ের, ‘জাতীয় দল পারফর্ম করার জায়গা, সেখানে আমি উইকেটের দোহাই দিই, এসব অজুহাত কিন্তু গ্রহণযোগ্য না। কারণ পারফর্ম করতে গিয়েছি, আমরা জাতীয় দলে খেলছি, ওখানে যে পরিস্থিতিই হোক পারর্ফম করতে হবে।’
এখন দেখার বিষয় উইকেট কিংবা কন্ডিশনের সঙ্গে কতটা মানিয়ে নিতে পারে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
চস/আজহার