spot_img

২৮শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, সোমবার
১৩ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

ইউরোপে মেডিক্যাল সায়েন্স পড়ার সুযোগ মিলেছে বাংলাদেশিদের

ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেকোনও বিষয়ে পড়াশুনার সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশিরা এতদিন মেডিক্যাল সায়েন্স পড়ার সুযোগ পেতো না। এই প্রথমবারের মতো সেই সুযোগ তৈরি হচ্ছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া সেশনে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট সারায়েভো-তে ভর্তির সুযোগ পাবেন।

ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনও মেডিক্যাল শিক্ষার্থী ইউরোপের যেকোনও দেশে চিকিৎসার প্র্যাকটিস করতে পারেন। এর ফলে বাংলাদেশিরা সরাসরি ইউরোপে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ পাবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং একইসঙ্গে বসনিয়া হার্জেগোভিনায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি (কনকারেন্টলি অ্যাক্রেডিটেড) রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, ‘ইউরোপের একটি ভালো মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশিরা যাতে পড়তে পারেন, সেজন্য গত এক বছর ধরে চেষ্টা করছিলাম। ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট সারায়েভো’র সঙ্গে আলোচনার পর তারা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য তৈরি। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরের সেপ্টেম্বর সেশন থেকে বাংলাদেশিরা সেখানে পড়ার সুযোগ পাবেন।’

কেন এই বিশ্ববিদ্যালয়
ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট সারায়েভো বাংলাদেশে তেমন পরিচিত নয়। এ ধরনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কেন মেডিক্যাল পড়ার বিষয়ে আলোচনা হলো, জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, ‘আমার উদ্দেশ্য ছিল দুটি। প্রথমত: ভালো মানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে বের করা। যেখানে ইংরেজিতে পড়ানো হয় এবং যার সার্টিফিকেট গোটা ইউরোপে কোনও প্রশ্ন ছাড়াই গ্রহণ করা হয়। দ্বিতীয়ত: মেডিক্যাল পড়াশুনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং এটি যত কম খরচে করা সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা, আমি দুটিতেই সফল হয়েছি। ইস্ট সারায়েভো বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট গোটা ইউরোপে স্বীকৃত। একইসঙ্গে এখানকার মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের এক বা দুই সেমিস্টার ইটালি বা স্পেনের অ্যাফিলিয়েটেড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হয়।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এখানে পাঁচ বছরের পড়াশুনা এবং এক বছরের ইন্টার্ন, অর্থাৎ ছয় বছরে মোট টিউশন ফি ৩৭ হাজার ইউরো (৩৭ লাখ টাকার মতো), যা এমনকি বাংলাদেশের মানদণ্ডে অত্যন্ত সুলভ।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে একটি ভালো মানের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়তে গেলে সব মিলিয়ে বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মতো খরচ পড়ে।

রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, ‘ইউরোপে ছোট ছোট পকেটে অনেক ভালো ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। যেখানে অত্যন্ত সুলভে পড়াশোনা করা সম্ভব। ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট সারায়েভো সেই ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান।’

ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার খরচ এত কম কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওই বিশ্ববিদ্যালয়টি সরকারি এবং সেজন্য খরচটি কম। দ্বিতীয়ত: বসনিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, সেটিরও বহিঃপ্রকাশ এর মাধ্যমে ঘটেছে।’

প্রসঙ্গত, ৯০ এর দশকে বসনিয়ায় যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী সেখানে নিয়োজিত ছিল।

কারা পড়তে পারবেন

ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট সারায়েভোতে ভর্তির সুযোগ কারা পাবেন, জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য যে যোগ্যতার প্রয়োজন হয়, এখানে ভর্তি হতে হলে একই যোগ্যতা থাকলেই চলবে।’

রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, ‘খুব শিগগিরই তাদের ঢাকা অফিস একটি সার্কুলার প্রকাশ করবে ভর্তি পরীক্ষার জন্য। অনলাইনে আবেদন করার পর ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন। যেহেতু এখানে ইংরেজিতে পড়ানো হয়, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভাষাগত সমস্যার কোনও কারণ নেই।’

কী কী বিষয়ের ওপরে পরীক্ষা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রসায়ন ও জীব বিজ্ঞানের ওপর পরীক্ষা হবে।’

সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss