গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে হাইকোর্টের রায় ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) প্রতি আদালত অবমাননার রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দলটির প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকির করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
এর আগে এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তখন সিইসি ছিলেন কে এম নূরুল হুদা। বর্তমান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি ও নতুন চার কমিশনার গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শপথ নেন।
হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি আদালত অবমাননার আবেদনটি করেন। এই আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আজ রুল দেওয়া হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন বড়ুয়া ও ফুয়াদ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
পরে আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, যখন অবমাননার আবেদনটি করা হয়, তখন সিইসি ছিলেন কে এম নূরুল হুদা। তাঁর মেয়াদ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। এরপর নতুন সিইসি হিসেবে কাজী হাবিবুল আউয়াল নিয়োগ পান। তাই আবেদনটি সংশোধন করা হয়। হাইকোর্টের রায়ের নির্দেশনা অমান্য করায় কেন সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কার্যক্রম শুরু করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। চার সপ্তাহের মধ্যে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে রুলের জবাব দিতে হবে।
চস/স