spot_img

২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শনিবার
১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

চট্টগ্রামে স্টার সিনেপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন তথ্যমন্ত্রী

দেশে এক চত্বরে বহু সিনেমা হলের সুবিধাসম্পন্ন সিনেপ্লেক্স স্থাপনের প্রবর্তক স্টার সিনেপ্লেক্সের চট্টগ্রাম শাখা উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। এটি ঢাকার বাইরে স্টার সিনেপ্লেক্সের প্রথম শাখা।

শুক্রবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বন্দরনগরীর চকবাজারে বালি আর্কেডে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি’র সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান বালি আর্কেডের পরিচালক সোলায়মান আলম শেঠ ও আর্কেডের প্রধান নির্বাহী আফতাব আলম শেঠ।

স্টার সিনেপ্লেক্সের মাতৃসংস্থা শো মোশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের অনেক সিনেমা বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছে এবং স্বাধীনতার পর দেশ গড়ার ক্ষেত্রে ভুমিকা রেখেছে। মানুষকে নির্মল আনন্দ দেয়ার পাশাপাশি দেশ গঠন, তরুণ প্রজন্মকে বিপথগামী হওয়া থেকে রক্ষার ক্ষেত্রেও সিনেমা ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সিনেমা শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে সিনেমা হল নির্মাণ, বন্ধ হয়ে যাওয়া পুরনো হল নতুনভাবে চালু করার উদ্দেশ্যে এক হাজার কোটি টাকার স্বল্প সুদে ঋণ তহবিল চালু করেছে। সিনেমার অনুদানের অর্থ বাড়িয়েছে। আগে যেখানে ৪০ লাখ টাকা সর্বোচ্চ দেয়া হতো সেটি আমরা ৭৫ লক্ষ টাকায় উন্নীত করেছি এবং সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। আমাদের অনেক সিনেমা বিশ্বাঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে, বিভিন্ন নামকরা পুরস্কার লাভ করেছে।

তিনি বলেন, ‘বাংলা সিনেমা অনেক চড়াই-উৎরায় পেরিয়েছে। আমরা অনেক কঠিন সময় অতিক্রম করেছি। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সিনেমা শিল্প অনেক দূর এগিয়েছে। আমি অবাক হয়ে দেখেছি, গত অক্টোবর মাসে কলকাতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে ‘হাওয়া’ মুভি দেখতে টিকেটের জন্য মানুষ এক কিলোমিটার লাইন ধরেছে। দুপুর ২ টায় শো শুরু হবে, সকাল ৯ টা থেকে লাইন ধরেছে। এমন দৃশ্য আমি ভাবিনি।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন চট্টগ্রাম শহরে ত্রিশটির মতো সিনেমা হল ছিল। এগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। আশার কথা হচ্ছে গত এক বছরে করোনা মহামারির মধ্যেও আমাদের বন্ধ হয়ে যাওয়া দুই’শ সিনেমা হল নতুনভাবে চালু হয়েছে। স্টার সিনেপ্লেক্সসহ আরো সিনেপ্লেক্স চালু হচ্ছে।

এসময় ঢাকায় পাঁচটি শাখার পর চট্টগ্রামে স্টার সিনেপ্লেক্সের ষষ্ঠ শাখার এবং দেশের পুরো সিনেমা শিল্পের জন্য শুভকামনা ব্যক্ত করেন অতিথিবৃন্দ। সূত্র: বাসস

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss